Home জাতীয় আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

by Shohag Ferdaus
যুবলীগ

আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কিছু বলারও নেই। একটা চ্যানেল কী করেছে, কী দেখিয়েছে। কী বলতে চেয়েছে। এর সত্য-মিথ্যা দেশবাসী যাচাই করবেন। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের ইন্ধন থাকতে পারে এসব ঘটনায়। কেননা, তারা তো থেমে থাকবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগ বিরোধিতার বিষয়টি তো রয়েছেই।

২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণে জাতিংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমালোচনা যারা করার তারা তো করবে। যারা বলছে, বলতে থাকুক। দেশের পরিস্থিতিতে এ আইন করা হয়েছে। কারাগারে অসুস্থতার কারণে কেউ মারা গেলে কার কী করার আছে?

তিনি বলেন, কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা দেওয়াও সরকারের কাজ। কেউ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরিহার্য।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করল।

শেখ হাসিনা বলেন, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা- এই তিনটি সূচকের ভিত্তিতে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডই খুব ভালোভাবে পূরণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ পুনরায় সকল মানদণ্ড অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পূরণের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করলো।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like