Home জাতীয় জাতিসংঘে ভাষণ: অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

জাতিসংঘে ভাষণ: অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

by Shohag Ferdaus
স্মরণ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন। সেদিন তিনি বাংলায় ভাষণ দিয়ে মাতৃভাষাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্ব দরবারে। জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব শুরু বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। আজ জাতিসংঘের ৭৫তম অধিবেশনে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। তিনি সর্বোচ্চ ১৭ বার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে গড়েছেন অনন্য রেকর্ড। বাংলাদেশের অন্য কোনো রাষ্ট্রনেতার এতবার জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার নজির নেই। একথা প্রধানমন্ত্রী ‍নিজেই ভাষণ দিতে গিয়ে স্মরণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের এই সভাকক্ষটি আমার জন্য অত্যন্ত আবেগের। ১৯৭৪ সালে এই কক্ষে দাঁড়িয়ে আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সদ্যস্বাধীন দেশের সরকারপ্রধান হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন। আমিও এই কক্ষে এর আগে ১৬ বার সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিশ্বশান্তি ও সৌহার্দ্যের ডাক দিয়েছি। সরকারপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এটি আমার ১৭তম বক্তৃতা।

২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী করোনা মহামারি নিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ব-দ্বীপে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

করোনা মহামারি নিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আমরা কেউই সুরক্ষিত নই যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি। এই ভাইরাস আমাদের অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলেছিল। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থনীতিক কর্মকা­ণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ আমাদের এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই ‘জীবন ও জীবিকা’ দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন যাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, তার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছি। এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছেন। আমরা ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছি। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ ৫ মিলিয়ন মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হয়।’

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like