ঢাকা : রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের রাজধানীর উত্তরা অপর একটি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে র্যাব ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
১৫ জুলাই বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় র্যাব হেডকোয়ার্টারে নানান প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সাহেদের বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, র্যাবের হাতে গ্রেফতার সাহেদকে আজই (বুধবার) ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়াও সাহেদ বালু ব্যবসায়ী, পাথর ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকদের ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন বলেও র্যাব ডিজি জানান।
এর আগে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে এই অভিযান শুরু করে।
সাতক্ষীরা থেকে র্যাবের অভিযান দলের হেলিকপ্টারযোগে বুধবার সকাল ৯টার দিকে সাহেদকে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। সেখান থেকে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ করা হয়।
বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, কোভিড-১৯ চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এতে ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৮ জুলাই রাতে গ্রেফতার করা হয় সাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলীকে। আর রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়।
ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস