Home অপরাধ ডা. সাবরিনার মামলা তদন্তের দায়িত্বে ডিবি

ডা. সাবরিনার মামলা তদন্তের দায়িত্বে ডিবি

by Amir Shohel
ডা. সাবরিনা

ঢাকা : রাজধানীর তেজগাঁও থানায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ১৪ জুলাই মঙ্গলবার সকালে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্যে গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালের একজন নিবন্ধিত চিকিৎসক। সরকারি চাকরিতে থেকে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তত ও সরবরাহ করেন। ভুয়া রিপোর্টের মাধ্যমে আট কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

১২ জুলাই দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সাবরিনাকে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীর প্রতারণার নেপথ্যে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে সব যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবরিনাই।

গেল মাসের (জুন) ২৩ তারিখে করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। এছাড়া পুলিশকে মারধর করে।

জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও পাওয়া যায়। কলেজের কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের লোকজন।

রিজেন্ট গ্রুপের মালিক সাহেদের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নজনকে হুমকি দিতেন আরিফ বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে কোভিড-১৯ এর টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন বলে জানা যায়। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।

ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস

You may also like