Home বিনোদন দিলারার দীর্ঘ যাত্রা

দিলারার দীর্ঘ যাত্রা

by Newsroom
দিলারার

১৯৪৩ সালে জন্মানো দিলারা জামানের অভিনয় যাত্রা শুরু ১৯৬৬ সালে ত্রিধরা নাটকের মধ্য দিয়ে। কিছুদিন আগে নন্দিত এই অভিনেত্রী রীতিমত প্ল্যামারকন্যা হয়ে হাজির হয়েছিলেন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে।

সৌন্দর্যের বয়স হয় না এরকম এক ‘অপ্রচলিত সত্যের’ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কেমন ছিল তার নিজস্ব মূল্যায়ন? কেমন ছিল অভিনয়ের শুরুটা, এখনকার পরিস্থিতিই বা কি? ভয়েসটিভির সাথে আলাপে প্রজ্ঞাবতী এই অভিনেত্রী জানালেন সবিশেষ।

দিলারা জামানের স্মৃতিতে এখনো জ্বলজ্বলে ইডেন কলেজে পড়াকালীন রাজনৈতিক সত্তা। ছিলেন ছাত্র সংসদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক। যে কমিটির ভিপি ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।

এই অভিনেত্রী বলেন, “সেই সময়টা ছিল দেশের জন্য ছাত্র রাজনীতির স্বর্ণযুগ। আমাদের সমস্ত কর্মকাণ্ডের মধ্যে জড়িয়ে ছিল মানুষ। আমরা মানুষের কথা বলতাম, নিপীড়িত মানুষ আমাদেরকে তাদের মুখপাত্র ভাবতো। কতবার যে আর্মি পুলিশের ধাওয়া খেয়েছি তার ইয়ত্তা নেই’’।

সম্প্রতি ‘গ্ল্যামারকন্যা’ হয়ে দেশজুড়ে হই চই ফেলে দেয়ার ঘটনা তুললে দিলারা জামান হেসে ওঠেন।

বলেন, “আমি আসলে ব্যাপারটা নিয়ে খুব আনন্দ বোধ করি। কিন্তু শুরুতে তাদের প্রস্তাবে রাজি হই নি। কারণ সাধারণ বাঙালি নারীর মতই জীবন যাপন করেছি। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি শাড়িতে। সেখানে যখন ওয়েস্টার্ন পোশাকে ফটশুটের প্রস্তাব আসে, রাজি হই নি। আমার ছোট মেয়ে বলল আম্ম কেন করবে না? এরপর ওর পীড়াপীড়িতে রাজি হয়ে যাই। এখনও বিভিন্ন শুটিং এ বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা যখন ওই প্রচ্ছদের প্রসঙ্গ তোলে তখন বেশ পুলকিত হই’।

মাঝখানে ঢাকার পাঠ চুকিয়ে আমেরিকায় সন্তানদের কাছে স্বামীসহ পাড়িয়ে জমিয়েছিলেন তিনি। তবে নাটক ও বাংলাদেশের টানে দুই মাসের মাথায় ফিরে এসেছেন দেশে।

এ প্রসঙ্গে দিলারা জামান বলেন, “৪২ বছরে ঢাকার সংসার জীবনের সমস্ত জিনিস মানুষকে বিলিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলাম আমেরিকায়, ছেলে মেয়ের কাছে থাকবো বলে। কিন্তু শেকড়ের টানে ২ মাসও থাকতে পারি নি সেখানে’’।

জীবনে প্রথমবার টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করার সময়টাকে যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছেন এই প্রজ্ঞাবতী অভিনেত্রী। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি তো মঞ্চে কাজ করতাম। সেখানে পেছন থেকে একজন বলে দিতো আমরা ডায়লগ ডেলিভারি দিতাম। আবার স্ক্রিপ্ট সপ্তাহ খানেক বা তার বেশি সময় ধরে পড়ার সময় পেতাম।

“কিন্তু প্রথম যখন টেলিভিশন নাটকে করতে যাই তখন একেবারে ঘেমে গিয়েছিলাম। একবারেই ডায়লগ ডেলিভারি দিতে হবে। ভুল হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখনও সেই দিনটার কথা মনে পড়লে বুক কেঁপে ওঠে”।

দিলারা জামানের নাটক সিনেমার এই দীর্ঘযাত্রা মোটেও ফুল ছড়ানো ছিল না। এখনও মাঝে মাঝেই নানাজনের কাছ থেকে অভিনয় করেন বলে শুনতে হয় নানান কথা।

আরও পড়ুন- চার বছরে ‘চিরতরে’

এই পরিস্থিতি ছিল অভিনয় শুরুর প্রথম দিকেও। এসবে ভ্রুক্ষেপ নেই দিলারা জামনের। নতুনদেরও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যাবতীয় কটু কথা পেছনে ফেলে শিল্প ভালোবেসে শিল্পী হয়ে ওঠার।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like