Home অপরাধ রিজেন্টের সাহেদের তথ্য চেয়ে দুই সংস্থাকে দুদকের চিঠি

রিজেন্টের সাহেদের তথ্য চেয়ে দুই সংস্থাকে দুদকের চিঠি

by Amir Shohel
মো. সাহেদ

ঢাকা : রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে তথ্য চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

১৪ জুলাই মঙ্গলবার দুই সংস্থাকে এ চিঠি পাঠানো হয় বলে একটি দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে।

দুদকের সূত্র জানায়, রিজেন্ট হাসপাতাল সংক্রান্ত নথির জন্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সাহেদের ব্যাংকিং লেনেদেন সংক্রান্ত নথির জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ১৩ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধান দলের নেতৃত্ব দেবেন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকে। এছাড়া অন্য দুই সদস্য হলেন- মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

যেসব অভিযোগে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা হলো- ক্ষুদ্র ঋণ ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া নাম-পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, আয়কর ফাঁকির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জন।

প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, কোভিড-১৯ চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এতে ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জুলাই রাতে গ্রেফতার করা হয় সাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলীকে। তবে চেয়ারম্যান সাহেদ এখনও ধরা পড়েনি।

ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস

You may also like