Home অপরাধ ধর্ষণ মামলায় দেশে প্রথম ফাঁসির রায়

ধর্ষণ মামলায় দেশে প্রথম ফাঁসির রায়

by Shohag Ferdaus
ধর্ষণ

টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার এক মাদরাসা ছাত্রীকে আট বছর আগে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার রায়ে পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে দুইজন আসামি উপস্থিত ছিল। বাকি তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে।

১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পর এটাই ধর্ষণ মামলায় দেশে কোনো মৃত্যুদণ্ডাদেশের প্রথম আদেশ।

এর আগে গত সোমবার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরদিন সেই অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত দণ্ডিত দুইজন আসামি হলেন-মধুপুর উপজেলার চারালজানী গ্রামের বদন চন্দ্র মণি ঋষির ছেলে সঞ্জিত (২৮), এই উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামের শ্রি দিগেন চন্দ্র শীলের ছেলে গোপি চন্দ্র শীল (৩০)।

পলাতক আসামিরা হলো, একই এলাকার সুনীল চন্দ্র শীলের ছেলে সাগর চন্দ্র শীল (৩৩), সুনিল মণি ঋষির ছেলে সুজন মণি ঋষি (২৮) ও মণিন্দ্র চন্দ্রের ছেলে রাজন চন্দ্র (২৬)।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আকতার জানান, ২০১২ সালে দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামের সাগর চন্দ্র শীলের সঙ্গে মোবাইলে ভূঞাপুর উপজেলার মাদরাসা ছাত্রীর পরিচয় হয়। একই বছরের ১৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে সকালে ভুয়াপুর উপজেলার সালদাইর ব্রীজের কাছে পৌঁছলে সাগর কৌশলে একটি সিএনজিতে এলেঙ্গা নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মধুপুরে চারাল জানী গ্রামে তার বন্ধু রাজনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার চার বন্ধু তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সাগর হিন্দু বলে তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। পরে ওই রাতে সাগর রাজনের বাড়িতে আটক রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে একই বছরের ১৭ জানুয়ারি রাতে তাকে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা পাঁচজনে মিলে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরদিন ভোরবেলা স্থানীয়রা ভিকটিমের বাড়িতে খবর দিলে স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ভিকটিম বাদী হয়ে ভুয়াপুর থানায় ১৮ জানুয়ারি দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সুজন মণি ঋষিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। ১৯ জানুয়ারি আসামি সুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সুজন তার জবানবন্দিতে সাগর, রাজন, সনজিত ও গবি চন্দ্র জরিত থাকার কথা উল্লেখ করে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করে। পরে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

আরও পড়ুন: মা-শিশু অপহরণ, ১৬ বছর পর মামলার রায়

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like