Home জাতীয় রেলসংযোগে নতুন দিগন্ত: প্রধানমন্ত্রী

রেলসংযোগে নতুন দিগন্ত: প্রধানমন্ত্রী

by Shohag Ferdaus
প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হবে রেলসংযোগের নতুন দিগন্ত। ২৯ জানুয়ারি রোববার ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলাদাভাবে আরেকটি সেতু নির্মাণ, এটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনারা জানেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। অর্থাৎ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্বের মধ্যে সেতুবন্ধ করতে গেলে আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে সেতু সংযোগ করতে হবে। ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে- এই দুটি সেতু যদি আমরা সম্পৃক্ত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গুরুত্ব আরো বাড়বে। ব্যাবসা বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়বে, মানুষের যোগাযোগ বাড়বে। আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ সুবিধা সবচেয়ে বড় বিষয়। এর আগে উত্তরবঙ্গে মঙ্গা লেগে থাকতো। আওয়ামী লীগ থেকে তখন আমরা সহযোগিতার জন্য যেতাম। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়াগায় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো। যোগাযোগ হলে মানুষের অর্থনীতি সচল হয়।’

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু রেল সেতু হবে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্রাকসহ প্রায় ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। সেতুর উভয়প্রান্তে প্রায় দশমিক ০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, প্রায় ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এন্ড এবং লুক ও সাইডিংসহ মোট প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক হওয়ায় পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর ক্রসিংজনিত কারণে আগের মতো স্টেশনগুলোতে অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর রানিং টাইম আনুমানিক ২০ মিনিট কমবে, পরিচালন ব্যয় কমবে এবং রেলওয়ের আয় বাড়বে। এ সেতুতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন করা হবে।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এ রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। ওই বছরই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য চালু করা হবে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like