Home জাতীয় নাসিক নির্বাচনে উত্তাপ, আইভির বিপক্ষে তৈমুর!

নাসিক নির্বাচনে উত্তাপ, আইভির বিপক্ষে তৈমুর!

by Newsroom

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বেড়ে গেছে। নাসিক মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর বিপক্ষে ভোটের ময়দানে নামতে যাচ্ছেন হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

নাসিক নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। ১১ ডিসেম্বর শনিবার তৈমুর আলম খন্দকার নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেয়র পদে তৈমুর আলম খন্দকার ভোটযুদ্ধে নামলে একটি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন নারায়নগঞ্জের বাসিন্দারা

অনেকেই বলছেন , এই হেভিওয়েট প্রার্থী মাঠে নামলে ঘাম ঝরাতে হবে সরকারদলীয় প্রার্থীর। এদিকে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কেন্দ্রীয় বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত ঠিক থাকলেও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির একাধিক সূত্র।

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নাসিক নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে দলটির প্রথমসারির নেতা থেকে তৃণমূল নেতাকর্মী-সমর্থকরা জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রার্থী হতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশ্য বিএনপির দুই নেতা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সাখায়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল মনোনয়ন ফরম কিনে রেখেছেন। দুজনই অপেক্ষায় আছেন দলীয় সিদ্ধান্তের।

এটিএম কামাল এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার শুধু আমাদের সিনিয়র নেতাই নন, তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী। দলের বাইরেও তার ক্লিন ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। তিনি নির্বাচন করলে আমি সরে দাঁড়াব। তিনিবলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে পরিবর্তনের একটি দাবি উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝ থেকেই। সর্বশেষ জেলার বেশ কয়েকটি ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় ঘটেছে। অ্যাডভোকেট তৈমুরের নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। সে কারণেই দুই দফা তিনি দলীয় বৈঠকে অ্যাডভোকেট তৈমুরের নাম উচ্চারণ করেছেন। অ্যাডভোকেট তৈমুর প্রার্থী হলে ভোট সুষ্ঠু হবে- এমন ধারণাও করছেন অনেক কর্মী-সমর্থক।

গত নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দলীয় প্রতীক ছাড়া আমি নির্বাচন করব না। তবে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ উৎফুল্লতা দেখা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, আমরা মনে করি- চলমান ইউপি নির্বাচন সরকারের জন্য একটি বার্তা ছিল। আমরা মনে করি, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি সরকার ও বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। যেহেতু ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে, তাই সেখানে কোনো কারসাজি করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের সম্ভবনাটুকুও নিঃশেষ হয়ে যাবে।

নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি দলীয় সিদ্ধান্তে অনড় ছিলাম। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দলের ত্যাগী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যেভাবে আমাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন- আমি মনে করি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এ স্পৃহা ও চাঙা ভাবটা ধরে রাখাও আমার নৈতিক দায়িত্ব। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছেন; ১৮ বছরের একনায়কতন্ত্রের অবসান চাচ্ছেন। দলের বাইরেও শত শত মানুষ আমাকে নির্বাচন করতে বলছেন। খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ আমরা দিতে চাই না।

ভযেস টিভি/ডি

You may also like