Home ভিডিও সংবাদ উন্নয়নের ছোঁয়ায় নূর মোহাম্মদ নগর

উন্নয়নের ছোঁয়ায় নূর মোহাম্মদ নগর

by Newsroom
নূর মোহাম্মদ নগর

নূর মোহাম্মদ নগর , এক সময় এ নগরে ছিলো না বিদ্যুৎ, স্কুল, কলেজ। কাঁদামাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো গ্রামবাসী। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় গ্রামের সেই সড়কগুলো পাকা হয়েছে, ঘরে ঘরে পৌছেছে বিদ্যুৎ, গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

এমন অজপাড়া গায়ে আধুনিক এসব সুবিধা পেয়ে খুশি এলাকার মানুষও। বলছি, এক সময়ের অবহেলিত নড়াইলের নূর মোহাম্মদ নগরের কথা। সরকার এ গ্রামের সব উন্নয়ন করেছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে প্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ শেখের সম্মানে।

১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্ম নেন জাতির বীর সন্তান নূর মোহাম্মদ শেখ। মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ ‘মহিষখোলা’র নাম পাল্টে রাখা হয় ‘নূর মোহাম্মদ নগর’। এরপর থেকে বদলাতে শুরু করে নূর মোহাম্মদ নগরের চিত্র।

‘বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্মৃতি রক্ষায় তৈরি করা হয় গ্রন্থাগার, জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের বই-পুস্তক ও পত্রিকা। এই এলাকার মানুষের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে লাইব্রেরিটি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি লাইব্রেরিতে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পেরে খুশি এলাকার মানুষ।

এদিকে, নূর মোহাম্মদের বসতভিটায় নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। তবে দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির দাবি এলাকাবাসীর।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ, সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন নূর মোহাম্মদ। পরে শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়।

পরে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ও আত্মত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয় এই সূর্য সন্তানকে।

ভয়েসটিভি/ডিএইচ

You may also like