Home জাতীয় ডাক বিভাগের ডিজির বরখাস্ত চেয়ে নোটিশ

ডাক বিভাগের ডিজির বরখাস্ত চেয়ে নোটিশ

by Newsroom
নোটিশ

ঢাকা: ডাক বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) সুধাংশু শেখর ভদ্রকে চাকরি থেকে বরখাস্ত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২২ আগস্ট শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ওই ঘটনার তদন্ত করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআর-এর পরিচালককে ইমেইল যোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও কেন তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলেন তার তদন্তসহ তাকে বিচারের আওতায় আনতে নোটিশে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোন কোন জায়গায় ঘাটতি রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট, ডাটা কার্ড উন্মোচন-এর উদ্বোধনী কাজে গত ১৪ আগস্ট গণভবনে যান সুধাংশু শেখর ভদ্র। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনেক কাছাকাছি অবস্থান করেন। কিন্তু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী তার কর্মকাণ্ড একটি অপরাধ। উক্ত আইন অনুযায়ী তিনি করোনা পজিটিভের তথ্য গোপন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নোটিশে আরও বলা হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১২ আগস্ট আইইডিসিআর করোনা পরীক্ষার জন্য সুধাংশু শেখর ভদ্রের নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় উক্ত রিপোর্ট তাকে প্রদান করা হয়েছে। যে রিপোর্ট অনুযায়ী তার করোনা পজিটিভ ছিল।

“কিন্তু উক্ত রিপোর্টের তথ্য গোপন করে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। যা শুধুই বেআইনি নয়, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি বহন করে।”

নোটিশে বলা হয়, আগস্ট মাস একটি শোকের মাস। এই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন বর্বরতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য বারবার স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এই আগস্ট মাসকে বেছে নিয়েছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যাওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

“কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন? একইসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা কার্যকরী সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ কারণেই বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”

ভয়েস টিভ/টিআর

You may also like