বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কক্সবাজারের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের যোগাযোগ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গতকাল বুধবার ও তার আগের দিন সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাঁদের অনেকেরই আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বলবৎ থাকায় ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব খান জানিয়েছেন, বর্তমানে দ্বীপে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক বিভিন্ন রিসোর্টে রয়েছেন। তারা নিরাপদে রয়েছেন। তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সাগরের পরিস্থিতি ভালো হলে তারা নিরাপদে কক্সবাজারে ফিরে যেতে পারবেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, হুঁশিয়ারি সংকেত উপেক্ষা করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যে সব পর্যটক রয়ে গেছেন তারা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন সে ব্যপারে সেন্টমার্টিন পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের সাশ্রয় মূল্যে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ; প্রতিবাদ টুয়াকের
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান জানান, কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে সমুদ্র বন্দরসমুহকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভয়েস টিভি/টিআর