মেহেরপুরে এবার পাটের ফলন বিপর্যয় হয়েছে। অতিবর্ষণে জমিতে পানি জমে যাওয়ায় পাট গাছ বাড়তে পারেনি। এছাড়াও তলিয়ে যাওয়া পাট কাটতে গিয়ে গোড়ার অনেকাংশ বাদ পড়ে যাচ্ছে। এতে বর্তমান বাজার দরে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে হতাশ পাট চাষীরা।
কৃষি বিভাগের হিসেবে অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় পাটের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। পাটের আবাদ মৌসুমের প্রথম দিকে ভাল থাকলেও শেষের দিকে অতি বৃষ্টিতে অধিকাংশ জমিতে পানি জমে পাট গাছ বাড়তে পারেনি। যার কারণে চাষীরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছে না।
চাষীরা জানায়, এক বিঘা জমির পাট ঘরে তুলতে তাদের খরচ হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ফলন বিপর্যয়ের কারণে পাট বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না। পর্যাপ্ত পানি থাকায় পাট জাগের অতিরিক্ত খরচ কমলেও পাট চাষের বাকি খরচটা বর্তমান বাজার দামে উঠছে না। এছাড়া গতবার পাটের যে ফলন হয়েছিল তার অর্ধেকটাও ফলন হচ্ছে না। লোকসান পুষিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় চাষীদের।
মেহেরপুরের পাট ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে পাটের মান অনুযায়ী ১৪’শ থেকে ১৬’শ টাকা মন দরে পাট কিনছে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ জানান, নিচু জমিতে কিছু পাটের ফলন কম হলেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
ভয়েসটিভি/এএস