Home বিশ্ব ঈভানে মিলেছে ১১শ’ বছরের পুরানো সোনার মুদ্রা

ঈভানে মিলেছে ১১শ’ বছরের পুরানো সোনার মুদ্রা

by Amir Shohel

ইসরাইলের মধ্য অঞ্চল ঈভানে মিলেছে হাজার বছরের পুরানো সোনার মুদ্রা। ধারণা করা হচ্ছে এ মুদ্রাগুলো ১১শ’ বছরের পুরানো। সেসময় ওই অঞ্চলে রাজত্ব করতো আব্বাসীয় শাসকরা। প্রত্নতাত্তিক খনন কাজ করার সময় এ মুদ্রাগুলো খুঁজে পান দুই স্বেচ্ছাসেবক। তবে কারা এবং কি কারণে এসব সোনার মুদ্রা লুকিয়ে রেখেছিলো তা এখনো জানা যায়নি। এই মুদ্রা আবিস্কারকে যুগান্তকারী বলছেন প্রত্নতত্ত্বাতিকবিদরা।

মধ্য ইসরাইলের ইনাভে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। এই কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নিয়েছে অনেক যুবক ও কিশোর। আগস্টের ১৮ তারিখ মনোযোগ দিয়ে মাটি খুড়ছিলো ওজ কোহেন নামে এক কিশোর। হঠাৎ সে মাটির নীচে হলুদ রঙের কিছু একটা দেখতে পায়। প্রথমে সে ভেবেছিলো, হয়তোবা কোনো গাছের পাতা। কিন্তু মাটি সরাতেই চমকে যায় কোহেন। ভালো করে তাকাতেই দেয়তে পায়, একটি মাটির পাত্র ভরা সোনার মুদ্রা।

এতো সোনার মুদ্রা খুজে পেয়ে খুবই খুশি কোহেন। সে জানায়, এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। প্রথমে পাতা মনে হলেও পরে দেখি এগুলো খুব প্রাচীন সব সোনার মু্দ্রা। আর ইসরাইলের অ্যান্টিকুইটি অথরিটির শীর্ষ কর্মকর্তা লিয়াট নাদাভ ভিজ বলেছেন, এই মু্দ্রা সম্ভবত লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো, যিনি রেখেছিলেন তিনি পরে তোলার কথাও হয়তোবা ভেবেছিলেন। এজন্য পেরেক দিয়ে আটকানো ছিল মাটির পাত্রটি।

তবে ইসরাইলের প্রত্নতত্ত বিভাগের দাবি, কোনো প্রত্নতত্ব খোড়াখুড়ি নয়, একদল যুবক সেখানে নতুন করে বসতি তৈরির পরিকল্পনা করতে গিয়েছিলো। সেখানে তারা গড়ে তুলে একটি ওয়ার্কশপ। সেই ওয়ার্কশপেই কাজ করার সময় ওই যুবক স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান পায় তারা।

এসব মুদ্রা প্রায় ১১০০ বছরের পুরনো। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, হাজার বছরও পরও সোনার মুদ্রাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মু্দ্রা বিশেষজ্ঞ রবার্ট কুল জানান, এই মুদ্রাগুলো নবম শতাব্দীর। তখন ইসরাইলের ওই অঞ্চল মুসলিম আব্বাসীয় শাসকদের সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। আর সেই সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল বর্তমান আলজিরিয়া থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত।

তিনি আরো জানান, মুদ্রাগুলো ২৪ ক্যারাট সোনার তৈরি। মোট ওজন ৮৪৫ গ্রাম। সেযুগে এতো সোনার দাম সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে কুল বলেন, যে পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে, তা দিয়ে মিশরের রাজধানীর সবচেয়ে দামি এলাকা ফুসতাতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনা সম্ভব।

অনুবাদক : ফেরদৌস মামুন, সাংবাদিক

You may also like