থানায় জনি নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পল্লবী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদসহ তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুই সোর্সের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ও এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই তিন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেককে বাদীকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৩ সালে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়নের ৭ বছরের মাথায় এই আইনে প্রথম কোনো মামলার রায় হয়েছে। জনির পরিবার ও রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে ৫ আসামির সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছিলেন।
গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর সেক্টরে বন্ধুর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে পুলিশ সোর্সের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় যুবক জনিকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে পল্লবী থানা পুলিশ। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জনির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জনির ছোট ভাই রকি তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান ও ২ পুলিশ সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ভয়েস টিভি/এসএফ