ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় লঞ্চটির মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। কেরানীগঞ্জ থেকে সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দরকার আল মঈন।
এদিকে সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ আরেক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০। উদ্ধার অভিযানের চতুর্থ দিন সোমবার সকালে বিষখালী নদী থেকে নিখোঁজ ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস; নিখোঁজ অন্তত ৪১ জন।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিলেন। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।
বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকালে স্থানীয় পোটকাখালী গণকবরে ২৯ জনের মরদেহ দাফন করা হয়। এর মধ্যে ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও বাকি ২৩ জনকে শনাক্ত করা যায়নি।
মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে নিহতদের স্বজনদেরও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
ভয়েস টিভি/এসএফ