Home জাতীয় যাচাই-বাছাই চলছে সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক

যাচাই-বাছাই চলছে সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক

by Newsroom
পেপারবুক

ঢাকা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলার পেপারবুক সুপ্রিমকোর্টে যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। এর আগে ১৬ আগস্ট সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক সুপ্রিমকোর্টে পৌঁছানো হয়।

সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২১ শে আগস্টের ঘটনায় হত্যা মামলায় ১৩ ভলিউম এ মোট ৫৮৫ টি পেপারে বুক এসেছে যা সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠা। মোট আপিল ২২ টি ও জেল আপীল ১২ টি। এখন এ পেপারবুক যাছাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। পলাতক আসামি থাকলে তাদের জন্য স্ট্যাট ডিফেন্স নিয়োগ করা হবে। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রধান বিচারপতি সমীপে উপস্থাপন করা হবে।

সুপ্রিমকোর্টের পেপার বুক চলে আসায় চাঞ্চল্যকর এ মামলায় বিচারিক আদালতে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আনা আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু করতে শুধুই সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এদিকে আজ এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, ইতিহাসের জঘন্যতম এ ঘটনায় আনা মামলায় উচ্চ আদালতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইতিহাসের জঘন্যতম এ হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া রায়সহ ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথিপত্র ২৭ নভেম্বর ২০১৮ সালে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে ওই বছরের ১০ অক্টোবর এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলটির নেতা হারিছ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। যাবজ্জীবন দন্ড পাওয়া এই ১৯ আসামির মধ্যে ১৩ জনই পলাতক।

মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়- বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় অপর ১১ আসামিকে। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।

আহত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শতশত নেতা-কর্মী। আজও তাঁদের অনেকেই শরীরে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন।

ভয়েস টিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/টিআর

You may also like