স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্যে বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি চালু হলে আমাদের কর্মীদের দেশেই উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় বিদেশ থেকেও লোকজন এসে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে, এখানে সেই ক্যাপাসিটি থাকবে।
১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রস্তুতি; দুর্যোগ মোকাবিলায় আনবে গতি’ স্লোগানে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০ শুরু হয়েছে। ২১ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে পদক বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শেষ হবে।
কনফারেন্সে মন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ আরও ১২৯টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৫টি। এছাড়া আরও ১১টি আধুনিক মডেল ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের জনবল বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ফায়ার সার্ভিসের জনবল ছিল ৬ হাজার ১৭৫ জন। বর্তমানে মোট জনবলের সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। এই জনবল ২৫ হাজারের অধিক করার জন্য অর্গানোগ্রামের কাজ চলছে
প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে পর্যায়ক্রমে অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক সময় ফায়ার সার্ভিসের নয় তলা পর্যন্ত অগ্নি নির্বাপণের সক্ষমতা ছিল। বর্তমানে সেই সক্ষমতা ২০ তলা পর্যন্ত। আগামী বছর ২২ তলা পর্যন্ত সক্ষমতা অর্জন করবে। আগে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ গাড়ি ছিল পাঁচটি। এখন সেই গাড়ির সংখ্যা ১০৮টি।
মানুষ ফায়ার সার্ভিসকে বিপদের বন্ধু মনে করে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, সড়কে বা নদীতে যেখানেই দূর্ঘটনা দেখেছি সেখানেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেবা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি এই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বাড়বে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ