যশোরের চৌগাছা থানার ওসির ফেসবুক লাইভ আর উপজেলা চেয়ারম্যান দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেল কপোতাক্ষ নদের দু’পাড়ের হাজারো মানুষ। এরআগে নদী পারাপারের বাঁশের সাঁকোতে উঠলে টাকা দিতে হতো। একইসঙ্গে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কাও ছিল।
সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের চিত্রটি ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন ওসি রিফাত খান রাজীব। তা নজরে পড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমানের। তারপর নির্মাণ করা হয় কাঠের সেতু।
স্থানীয়রা জানান, দুই গ্রামের বাসিন্দা এবং পির দেওয়ানের ওরসের সময় হাজারো মানুষের যাতায়াত করে এই বাঁশের সাঁকোতে। এজন্য জনপ্রতি দিতে হতো ১০ টাকা করে। খবর পেয়ে সেখান থেকে ফেসবুকে লাইভে ঘটনার বর্ণনা দেন চৌগাছা থানার ওসি। পাশাপাশি টাকা আদায়কারিকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন । এ ঘটনায় বাঁশের সাঁকোটি রাতের আঁধারে ভেঙ্গে দেয় দুর্বৃত্তরা। ভোগান্তিতে পড়ে দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
যশোরের চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিফাত খান রাজীব জানান, ফেসবুক লাইভ এবং সাঁকো ভেঙে দেয়ার ঘটনা জানতে পেরে উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান দ্রুত এডিবিতে সেতু নির্মাণ প্রকল্প অর্ন্তভুক্ত করেন। পরে কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়।
চৌগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান বলেন, ফেসবুক লাইভের পর বিষয়টি আমার নজরে পড়ে। তারপর কাঠের সেতু নির্মাণ করার ব্যবস্থা করি। এরইমধ্যে কাঠের সেতুটি সাধারণ মানুষদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এতে খুশি স্থানীয়রা।