Home জাতীয় বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু

by shahin

ভয়েস টিভি ডেস্ক: দেশের ৭ জেলার একদিনে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে । আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন । আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছন বিস্তারিত তথ্য । এক দিনে বজ্রপাতে পাবনায় ৪ জন, বগুড়ায় ৪জন, কুষ্টিয়ায় ২ জন, ময়মসিংহে ৩ জন, টাঙ্গাইলে ১ জন, হবিগঞ্জে ২ জন, নোয়াখালীতে ১ জন মারা গেছে ।

পাবনা: জেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজন মারা গেছেন। চাটমোহর, আতাইকুলা ও সদর উপজেলায় বজ্রপাতে মারা যান তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরবনার আতাইকুলা থানার তেলিগ্রামে বজ্রপাতে নুরুজ্জামাল মোল্লা (১৯) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তিনি তেলিগ্রাম গ্রামের আততাফ মোল্লার ছেলে। নূরুজ্জামাল শাঁখারীপাড়া সুধীর কুমার কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। তবে বিশেষ কারণে স্নাতকে ভর্তি হওয়া হয়নি তার। বেলা ৫টার দিকে চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়ালে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে শরিফুল ইসলাম (২৭) নামে এক কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেলা সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার সাদীপুর গ্রামে ফারুক হোসেন (৩০) নামের এক কৃষক এবং পদ্মার চরে বজ্রপাতে অপর একজনের মৃত্যু হয়েছে।

কুষ্টিয়া: বজ্রপাতের ঘটনায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- ফারুক মন্ডল (৩০) ও শফি বিশ্বাস (৫০)। বৃহস্পতিবার বিকালে পদ্মার চরে গরু চড়ানোর সময় ফারুক মন্ডল ও ধান কেটে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শফি বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। নিহত ফারুক মন্ডলের বাড়ি উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামে ও শফি বিশ্বাসের বাড়ি নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুর মধ্যপাড়া গ্রামে।

বগুড়া: জেলায় বজ্রপাতে ৪ কৃষক মারা গেছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে জেলার কাহালু, সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর ও ধুনট উপজেলায় বজ্রপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বজ্রপাতে মৃতরা হলেন-কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের এরুইল গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে মোখলেছার রহমান (৫৫), সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুকান্দি গ্রামের বুলু মন্ডলের ছেলে লেবু মিয়া (৩৫), শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের হরিণগাড়ি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪০) ও ধুনট উপজেলার গোপালনগ নগর গ্রামের দেরাজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম সরকার (৪৫)।
আহতদের মধ্যে কাহালুর মালঞ্চা ইউনিয়নের এরুইল গ্রামের হাসান আলীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ময়মনসিংহ : জেলার ফুলবাড়ীয়ায় বজ্রপাতে দুই কিশোর ও এক গরু ব্যবসায়ীসহ তিন জনের মৃত‌্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর দুইটার পর পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তাদের মৃত‌্যু হয়। নিহতরা হলেন- উপজেলার জঙ্গলবাড়ী গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী মোতালেব (৫০)। আছিম পাটুলী গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রবিন (১৩) ও বিদ্যানন্দ গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ইমরান। বজ্রপাতে তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, ‘দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার জঙ্গলবাড়ি এলাকার গরু ব্যবসায়ী মোতালেব মাঠ কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’

হবিগঞ্জ : জেলার বাহুবল উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।   বৃহস্পতিবার উপজেলার নোয়াঐ ও জারিয়া বিলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের নোয়াঐ গ্রামের দরদ মিয়ার ছেলে ওড়কাইদ (১১) ও সাতকাপন ইউনিয়নের মানিকা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে নরছ উদ্দিন (১৭)। নোয়াঐ গ্রামের ওড়কাইদ তার বড় ভাই জুনাইদসহ আরও দুইজনকে নিয়ে বাড়ির পাশের বিলে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে ওড়কাইদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বজ্রপাতে তার ভাই জুনাইদ ও বন্ধু উসমান আহত হয়। আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ দিকে জারিয়া বিলে মানিকা গ্রামের নরছ উদ্দিন মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

টাঙ্গাইল : জেলার সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ধরেরবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বজ্রপাতে মো. অনিক (১৫) নামে নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মা-বাবার সঙ্গে অনিক খড় শুকাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী : জেলার হাতিয়ায় উপজেলায় বজ্রপাতে রফিক উল্যাহ নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪জুন) দুপুরের দিকে হাতিয়া উপজেলার স্বর্ণদ্বীপে মাটি কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের। নিহত রফিক উল্যাহ (৩৮) সুবর্ণচর উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের মধ্য চরবাটা গ্রামের গুল্লালাগো বাড়ির মৃত শফি আলমের ছেলে।

You may also like