Home অর্থনীতি অনিবন্ধিত সুদ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

অনিবন্ধিত সুদ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

by Newsroom
পাসপোর্টধারীদের

সারাদেশের অনিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সমবায় সমিতি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ব্যারিস্টার সুমনের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ৪৫ দিনের মধ্যে সারা দেশের সুদ কারবারিদের তালিকা করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা করার সময় কারও নাম পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সুদ কারবারিদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হওয়া রিটের শুনানিতে প্রতারিত মানুষের অবস্থা তুলে ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হয়। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশের গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া অনিবন্ধিত সুদের কারবার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিট আবেদনটি দাখিল করেন। আবেদনে দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) বিবাদী করা হয়।

আইনজীবী সুমন বলেন, দেশজুড়ে সমবায় সমিতির নামে সুদের কারবার চলছে। আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ঋণ দেওয়ার নামে উচ্চহারে সুদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এসব সুদের কারবারির কাছে জিম্মি। তাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও আকাশছোঁয়া। ১০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহের সুদ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কারো ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা, মাসে সুদ হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন তারা। অথচ তাদের এই কারবারে সরকারের কোনো অনুমোদন নেই, সমিতির নামের কোনো নিবন্ধন নেই।

ব্যারিস্টার সুমন আরো বলেন, অনিবন্ধিতভাবে গজিয়ে ওঠা এসব সমবায় সমিতি ও সুদের কারবারি থেকে ঋণ নিয়ে সুদের বোঝা টানতে টানতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মানুষ। প্রশাসনের চোখের সামনেই এই সুদের কারবার চলছে। এই অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের নামে সুদের কারবার বন্ধ হওয়া দরকার।

You may also like