Home জাতীয় বাংলাদেশের প্রধান কবির ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের প্রধান কবির ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

by Shohag Ferdaus
মৃত্যুবার্ষিকী

ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে/রাত দুপুরে অই।/ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে/ট্রেনের বাড়ি কই ? কবি শামসুর রাহমানের এ কবিতাটির মাধ্যমে কৈশোরেই কবির সঙ্গে পরিচিত হয় এদেশের বাঙালি কিশোররা। আজ কবির ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬ সালের আজকের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

নাগরিক যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি তার অনেক লেখায় ফুটে ওঠায় তিনি নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত। তবে আধুনিক বাংলা কবিতার অমর স্রষ্টা, কবিতার বরপুত্র, বাংলাদেশের প্রধান কবি অভিধায় অভিষিক্ত করা হয় কবি শামসুর রাহমানকে।

দুঃসময়ে মুখোমুখি কবিতায় তিনি লিখেছেন- ‌‘বাচ্চু, তুমি, বাচ্চু তুই, চলে যাও, চলে যা সেখানে/ ছেচল্লিশ মাহুতটুলীর খোলা ছাদে।’

হ্যাঁ ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্ম নিয়েছিলেন এ কবি। সেই মাহুতটুলির স্মৃতচিারণ করেছেন এ কবিতায়। কবি বেঁচেছিলেন ৭৭ বছর। তার জীবনের সাধনা ছিল একটাই- কবিতা। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠার কারণে নগরজীবনের নানা অনুষঙ্গ ও উপকরণ তুলে ধরেছিলেন কবিতায়।

মেঘনা নদী দেব পাড়ি/কল-অলা এক নায়ে।/আবার আমি যাব আমার/পাড়াতলী গাঁয়ে ‘পাড়াতলী’ নামের এ কবিতায় কবির নাড়ির টান তথা মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে নরসংদীর রায়পুরার পাড়াতলী তার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। নাগরিক জীবন-যন্ত্রণা তার কবিতায় উঠে আসলেও এদেশের প্রকৃতিকে তিনি উপেক্ষা করেননি, ভুলে থাকতে পারেননি। তাই এদেশের প্রকৃতিও তার কবিতার অনুষঙ্গ হয়েছে।

শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। পরে বন্দী শিবির থেকে কাব্যটি ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। এ কাব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন আবেগ ও প্রত্যাশা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কাব্যের মাধ্যমে তিনি কবি খ্যাতি অর্জন করেন। এ কাব্যের অধিকাংশ কবিতা মুক্তিযুদ্ধকালে অবরুদ্ধ সময়ে রচিত। এ কাব্যটি ১৯৭১ সালের শহিদদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। এ গ্রন্থে ৩৮ টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’, ’স্বাধীনতা তুমি’।

শামসুর রাহমানের প্রকাশিত কাব্যের সংখ্যা ৬৬টি। এছাড়াও উপন্যার চারটি এবং প্রবন্ধ ও শিশুদের নিয়েও লিখেছেন তিনি।

তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।

ভয়েস টিভি/নিজস্ব প্রতিবেক/এসএফ

You may also like