Home জাতীয় ভারতকে এবার তিন গুণ ইলিশ দেবে বাংলাদেশ

ভারতকে এবার তিন গুণ ইলিশ দেবে বাংলাদেশ

by Shohag Ferdaus
ইলিশ

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পেরিয়ে আসা-যাওয়া কার্যত বন্ধ। এদিকে গত বারের মতো এবারও পূজার মৌসুমে ইলিশ রফতানির দরজা খুলছে বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার।

তারা জানাচ্ছে, ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইলিশ রফতানি-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হাতে এসেছে। দিল্লি থেকে ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’ আদায় করে মাছ দ্রুত এ দেশে আমদানির তোড়জোড় চলছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, পূজার উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো যাবে। ২২ অক্টোবর, দুর্গাপূজার সপ্তমী। গতবার ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র মিলেছিল। এবার মোট নয়টি সংস্থাকে কম করে ১৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ঢাকা।

পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ শুক্রবার বলেন, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ইলিশ আনতে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য।

হাওড়ার পাইকারি মাছ কারবারি সংগঠনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, মাঝে শুক্রবার বাংলাদেশে এবং রোববার ভারতে ছুটি। বাধা কাটিয়ে আগামী সপ্তাহেই ইলিশ আমদানির চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই ইলিশ ঢুকে কলকাতা, হাওড়া ও শিলিগুড়ি যাবে। এখন এক কেজি-১২০০ গ্রামের বড় ইলিশের দাম কমবেশি ১৩০০ টাকা। পদ্মার ইলিশের দাম তার আশপাশেই থাকবে বলে ধারণা পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ ব্যবসায়ীদের। মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন (১৭ সেপ্টেম্বর), আসন্ন রান্নাপুজোর আগেই বাঙালির ভাতপাতে মিলতে পারে পদ্মার ইলিশ।

সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ আরও বলেন, পদ্মার স্বাদু ইলিশের অভাবে ইলিশ খাওয়া কমছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর। মিয়ানমারের ইলিশ এখন শীতেও পায় পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু তার চাহিদা সচরাচর বছরে ২০০০ মেট্রিক টন ছাড়ায় না। আগে পদ্মার ইলিশ কমবেশি ৬০০০ মেট্রিক টন আমদানি হত পশ্চেমবঙ্গে। পুজোয় কিছুটা হলেও সাধ মিটবে এপারের বাঙালির।

২০১২ সালের জুলাইয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে টানাপড়েনে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। গত বছর পুজোর মওসুম থেকে তা শিথিল হয়েছে।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like