বরগুনার পাথর ঘাটা উপজেলার পদ্মা ও জিনতলা এলাকায়, ঘূর্ণিঝড় সিডরের একযুগ পরও নির্মাণ করা হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ। বাঁধ দুটি ১২ বছরে ভেঙেছে কমপক্ষে ১২ বার । প্রতিবারই মেরামত করা হয় অস্থায়ীভাবে। সম্প্রতি অস্বাভাবিক জোয়ারে পদ্মা বেড়িবাঁধের ১ কিলোমিটার বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের।
বরগুনার পাথর ঘাটা উপজেলার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর তীরেই জিনতলা ও পদ্মা বেড়িবাঁধ। ২০০৭ সালের সিডরে ভেঙে যায় বেড়িবাঁধ দুটি। মারা যায় ৫৪ জন। এরপর ১২ বছরেও তৈরি করা হয়নি স্থায়ী বেড়ি বাঁধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙ্গন শুরু হলে অস্থায়ী মেরামত করে ঠিকাদাররা হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। টেকসইবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজো বাস্তবায়ন করেনি কর্তৃপক্ষ।
এবার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে আশপাশের এলাকা। জোয়ারের পানিতে ডুবে গেঝে ৮ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। নষ্ট হয়েছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের।
পদ্মা ও জিনতলায় স্থায়ী বেড়ি বাঁধ নির্মাণ না করা হলে শিগগির নদীতে বিলীন হয়ে যাবে এখানকার ৮টি গ্রাম।
বারবার বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করার পরও ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে বর্ষাকালের অতি বৃষ্টিকেই দায়ি করেন বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুজাফর মো. আলমগীর।
তবে স্থায়ী বেড়িবাঁধ তৈরির আশ্বাস দেন বরগুনা জেলাপ্রশাসক মোস্তাইনবিল্লাহ। একইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি বাঁধ নির্মাণ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারি রাখার কথাও জানান তিনি।
ভয়েসটিভি/এএস