দীর্ঘ আট মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। ২৫ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন বলে নিশ্চিত করেন তাঁর ছেলে মনোরম পলক।
মনোরম পলক জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাঁর বাবা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরে দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে বাসায় আনা হয়। তিনি খুব ক্লান্ত, একটু সুস্থ বোধ করলে সবার সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগে চলতি বছরের গত ১০ মার্চ নিখোঁজ হন তিনি। পরে ৩ মে যশোরের বেনাপোলে খোঁজ মিললে সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
জানা গেছে, গত ১০ মার্চ মঙ্গলবার শফিকুল ইসলাম তাঁর বকশিবাজারের বাসা থেকে দৈনিক পক্ষকাল কার্যালয়ের উদ্দেশে বের হন। তিনি হাতিরপুলের মেহের টাওয়ারের কার্যালয়ে পৌঁছান বিকেল সোয়া চারটার দিকে। পৌনে সাতটা থেকে তাঁর আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তাঁর স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী পরদিন বুধবার চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আদালতের হস্তক্ষেপে চকবাজার থানায় শফিকুল ইসলামের ছেলে মনোরম পলক অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
৫৪ দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ৩ মে রোববার ফটোসাংবাদিক কাজলের খোঁজ পাওয়া যায়। এর আগের দিন শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৪৮ মিনিটে ছেলে মনোরমের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। বেনাপোল থানার একজন পুলিশ সদস্যের ফোন থেকে তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
বেনাপোল থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে বিজিবি এক ব্যক্তিকে তাঁদের কাছে দিয়ে যায়। পরে তাঁরা জানতে পারেন, এই ব্যক্তিই নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
বেনাপোল থেকে গ্রেফতারের পর শফিকুলের বিরুদ্ধে প্রথমে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন : জামিন পেলেন শওকত আলী ইমন
ভয়েস টিভি/এমএইচ