রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সারা দিনে নয়টি বাসে আগুন দেয়ার পর রাতে আরও একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিন রাত পৌনে ৮টার দিকে উত্তরার আজমপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে নয়াপল্টনে, গুলিস্তান, আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে, সচিবালয়ের উত্তর পাশে, পুরান ঢাকার নয়াবাজারে, পল্টন, মতিঝিল ও ভাটারায় নয়টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাতে আজমপুরে আগুন দেয়ার ঘটনা নিয়ে ১০টি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আজমপুরে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া দুপুরে পুরান ঢাকার নয়াবাজারে যাত্রীবাহী দিশারী পরিবহনের বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাতে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সারা দিনে ১০টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ১২ জনকে আটকের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের মধ্যে তিনটি সরকারি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উত্তর পাশে পার্ক করে রাখা একটি সরকারি বাসে প্রথম আগুন দেয়া হয়। সবশেষ বিকেল সাড়ে ৪টায় ভাটারা এলাকায় আরেকটি বাসে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে বাসগুলোতে আগুন লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে। যেসব বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, তাতে ৩ জন থেকে সর্বোচ্চ ১২ জন যাত্রী ছিল।
হঠাৎ কী কারণে এতগুলো বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ঘটনা একইভাবে ঘটেছে। এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। একাধিক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। তাতে কয়েকজনের চেহারা পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। অগ্নিসংযোগকারীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
