Home জাতীয় অঝোরে কেঁদে ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন মা

অঝোরে কেঁদে ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন মা

by Newsroom
বিচার চাইলেন মা

ঢাকা: অঝোরে কেঁদে ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খানের মা নাসিমা আক্তার। তিনি বলেছেন, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আমি এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট। আমরা চাই যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

১০ আগস্ট সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন তিনি।

নাসিমা আক্তার বলেন, কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী ছিল আমার ছেলে। দেশকে নিয়ে অনেক ভাবতো। ছেলে আমাকে বলতো, আম্মি আমরা যদি দেশে ভালো কিছু রেখে যাই তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটা অনুসরণ করবে।

তিনি আরও বলেন, সিনহা সবসময় সারপ্রাইজ দিতে চাইতো। ক্রিয়েটিভ কাজ করা তার নেশা ছিল। মূলত মনের খোরাক মেটাতেই সিনহা এসব কাজ করত। তাই আমি শতভাগ আস্থা নিয়েই বসে থাকতাম যে, আমার ছেলে কাজ করতেছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সিনহার মা ঘটনার দিন রাতের বর্ণনা দিয়ে বলেন, রাত ১১ টার দিকে আমি সিনহাকে ফোন দিয়েছি, কিন্তু সে ফোন ধরে নি। মনে করেছি হয়ত কাজে ব্যস্ত। কিন্তু পরে আর ফোনও দেয়নি। ১২ টার দিকে টেকনাফ থানার ওসি আমাকে ফোন দিয়ে সিনহা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চায়। তখন আমার একটু খটকা লাগে যে, সিনহা তো দ্রুত গাড়ি চালায় কোন কিছু হলো কী না। তখন আমি সিনহার সাথে কথা বলতে চাইলে সে বলে, ‘ও একটু দূরে আছে, তবে কথা বলা যাবে। তারপর ফোন রেখে দেয়। আর ফোন ধরে না।’

আবার সিনহার সাথে যারা কাজ করে তাদের ফোন নম্বরও আমার কাছে ছিল না। পরে আমি মেজর মহসিনকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত বলি। পরদিন সকালে ১০ টার পর উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ আসে আমার বাসায়। তারা আমার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে। আমিও তাদের সাথে কথা বলি। পরে জানতে চায়, ‘সিনহা কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল কী না?’ আমি না বললে তারা চলে যায়।’ এরপরই তার মৃত্যুর খবর পাই।

ছেলে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান নাসিমা আক্তার বলেন, কাজের কথা মুখে বলতো না সে। আমি বুঝতাম সে কথায় বিশ্বাসী ছিল না, কাজে বিশ্বাসী ছিল। যেমন বিশ্ব ভ্রমণ করা নিয়ে সে বলতো, এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। এইটা নিয়ে কোনো পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ সে জানাতে চাইতো না। সারপ্রাইজ দেবে। কিছু উপহার দেবে দেশকে। নেক্সট জেনারেশনের কথা অনেক ভাবতো। বলতো আমরা যদি কিছু ভালো রেখে যাই পৃথিবীতে। আম্মু এ দেশের সবাই কেবল নেগেটিভ জিনিস দেখে, এ দেশে কিচ্ছু হবে না। কেন? এ ধরনের চরিত্রের অধিকারী সে ছিল।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ।

ভয়েস টিভি/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ টিআর

You may also like