Home জাতীয় দেশে করোনার পিকটাইম নিয়ে যা বললেন ড. বিজন কুমার শীল

দেশে করোনার পিকটাইম নিয়ে যা বললেন ড. বিজন কুমার শীল

by Newsroom
বিজন কুমার শীল

ঢাকা: গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, জুন মাসে দেশে করোনার পিকটাইম (উচ্চমাত্রায় সংক্রমণ) ছিলো সেটা আমি তখন থেকেই বলে আসছিলাম। আর এখন তো আমি মনে করছি ঢাকা পিক থেকে নেমে গেছে। অন্য কোনো জেলায় হয়তো বিচ্ছিন্নভাবে ওঠানামা করবে। পিক থেকে একবার নামলে সেটা আর ওঠে না। অন্য দেশগুলোতে যেটা হচ্ছে সেটা বড় বড় দেশের বিচ্ছিন্ন নানা প্রদেশে আলাদাভাবে ওঠানামা করছে। যা দেখে আমরা মনে করি, ওই দেশে সংক্রমণ বোধ হয় আবার পিকে উঠেছে। কিন্তু কোনো দেশের কোনো একটি শহরে দ্বিতীয়বার আগের মতো সংক্রমণ উঁচুর দিকে ওঠার নজির কিন্তু খুব একটা নেই।

তবে দেশে করোনা সংক্রমণের ১৮তম সপ্তাহ চলছে। এর আগের চার সপ্তাহ বা জুন মাস পুরোটাই সংক্রমণ উচ্চমাত্রায় ছিলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তুলে ধরা তথ্য-উপাত্তই এমন চিত্র হাজির করছে।

ড. বিজন কুমার শীল আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে জোরালো সংক্রমণের সম্ভাবনা এখন কমে যাবে। যদিও কোরবানির ঈদের প্রভাবে পরে কিছুটা সংক্রমণ বাড়লেও তার গতি দুর্বল থাকবে। কারণ আমাদের দেশে এখন এক ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বেষ্টনী তৈরি হয়েছে, তা সংক্রমণের গতিকে শক্তিশালী হতে দেবে না। আবার দ্বিতীয়বারে কারো আক্রান্ত হওয়ার কথাও ঠিক নয়।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে স্থানীয় সংক্রমণের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম সপ্তাহজুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু সমান্তরালভাবে পিকে ওঠে। ১৮তম সপ্তাহে এসে এ দুটির রেখাচিত্র নিম্নমুখী। মাঝে এক দিন মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও সাপ্তাহিক হিসাবের গড়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব পড়েনি। বরং মৃত্যুহারে দিনে দিনে বাংলাদেশ নিচে নেমে এসেছে। এমনকি গতকাল (৫ জুলাই) ৫৫ জনের মৃত্যু হলেও তাতে মোট গড় মৃত্যুহার বাড়েনি, বরং আগের কয়েক দিনের মতোই ১.২৬ শতাংশ ছিল।

ওই তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১৪-১৭তম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১ হাজার ৩৫৩, ২৪ হাজার ৩০৬, ২৫ হাজার ২০৩ ও ২২ হাজার ৪১৩। চার সপ্তাহে মোট ৯১ হাজার ৩৭৫। যা এ পর্যন্ত মোট সংক্রমণের ৫২.৪২ শতাংশ। অন্যদিকে মৃত্যু ছিল সপ্তাহপ্রতি যথাক্রমে ২৯৩, ২৮৬, ২৭০ ও সর্বোচ্চ ৩০২ জন। আর ১৮তম সপ্তাহে মোট শনাক্ত হয় ২০ হাজার ৬১১ জন। এই সপ্তাহে এসে মৃত্যু কমে আসে ২৫৯ জনে। আগের চার সপ্তাহে মোট মৃত্যু এক হাজার ১৫১ জন, যা এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ৫৬.০৯ শতাংশ।
সম্পাদনা : দেলোয়ার

You may also like