Home জাতীয় ভাসানচরের পথে ১৪৬৬ রোহিঙ্গার চতুর্থ দলটি

ভাসানচরের পথে ১৪৬৬ রোহিঙ্গার চতুর্থ দলটি

by Amir Shohel

কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তৃতীয় দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দ্বিতীয় দিন ৩০ জানুয়ারি শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে এক হাজার ৪৬৬ রোহিঙ্গার আরেকটি দল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রা শুরু করে দলটি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক হাজার ৪৬৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার তৃতীয় দফার প্রথম দিনে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে এক হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। দুপুর ১২টায় ভাসানচরে পা রাখা এই দলে রয়েছে ৪০৪ জন পুরুষ, ৫১০ জন নারী ও ৮৬২টি শিশু।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছার পর গতকাল জাহাজে করে ভাসানচরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি ছিল এক হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা। তবে এর মধ্যে গতকাল এক রোহিঙ্গা নারী সন্তান জন্ম দেন। নবজাতকসহ ওই নারী ও তাঁর স্বামী চট্টগ্রামেই থেকে যান।

এক হাজার ৭৭৬ জনের রোহিঙ্গা দলটি গতকাল ভাসানচরে পৌঁছার পর তাদের পর্যায়ক্রমে জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর তাদের গাড়িতে করে ভাসানচরের ওয়্যারহাউস-১-এ নিয়ে ব্রিফ করা হয়। সেখান থেকে তাদের নতুন ঘর ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গতকাল যেসব রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছে তাদের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) মাধ্যমে তিন দিন খাবার দেওয়া হবে। এরপর তাদের রেশন দেওয়া হবে। তখন থেকে তারা নিজেরাই রান্না করে খাবে।

গত ৪ ডিসেম্বর এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে টেকনাফ ও উখিয়া থেকে প্রথম দফায় ভাসানচরে নেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে পা রাখে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। কয়েক দিনের মধ্যে এ সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়ে যায়। আগে থেকেই অবস্থান করছিল আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। এ অবস্থায় শিবিরগুলোতে চাপ কমাতে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like