কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ জন আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ৬ ডিসেম্বর রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উসকানিদাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। আটক চার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হলেন- আবু বাকার, নাহিদ, আলামীন ও ইউসুফ। এদের মধ্যে আবু বাকার ও নাহিদ ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছিলেন।
গত শুক্রবার রাতের আঁধারে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখমণ্ডল ও বাঁ-হাতের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার সকালে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট চত্বর ও থানা মোড়ে আওয়ামী লীগ ও জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করে। সন্ধ্যায় মিছিল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এদিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের আঁধারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার কাজে দুইজন অংশ নেন বলে সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘড়িতে তখন রাত ২টা ১৬ মিনিট। দু’জনই দাড়িওয়ালা। টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত দুজনের মধ্যে একজনের পিঠে ব্যাগ ঝোলানো রয়েছে। শহরের যে সড়কটি মজমপুর গেট হয়ে পাঁচ রাস্তার মোড়ে এসে মিশেছে পায়ে হেঁটে এসে টুপি, দাড়িওয়ালা,পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত যুবক বয়সী ওই দুজন বাঁশ বেয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে উঠে এলোপাথাড়ি হাতে থাকা লাঠি অথবা লোহার দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভাস্কর্যটি ভেঙে তারা নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকায় একটি ব্যাংক, অপর একটি ব্যাংকের ফার্স্ট ট্র্যাক বুথসহ রাস্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। ওইসব সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করে হামলাকারী দুজনকে শনাক্ত করে।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ