Home জাতীয় চাঁদপুর পৌর নির্বাচন: ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে

চাঁদপুর পৌর নির্বাচন: ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে

by Newsroom

এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণ চলছে। ১০ অক্টোবর শনিবার সকাল ৯টা থেকে পৌরসভার ১৫ ওয়ার্ডে ৫২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে এবং শেষ হবে বিকেল ৫টায়।

এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী  হিসেবে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ মামুনুর রশিদ বেলাল।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনরে পক্ষ থকে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৌর এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিজিবি, র‌্যাব, এপিবিএন আনসার সমন্বয়ে গঠিত স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন।

এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজের শহীদ রাজু ভবনে ৫২ জন প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে ইভিএম মেশিন ব্যবহার, ভোট চলাকালীন সংরক্ষণ ও ভোটগণনা শেষে তা ফেরত দেয়ার বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্রিফিং করেন চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার মো. তোফায়েল আহমেদ এবং উপজেলা নির্বাচন কমিশনার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন।

এরপর চাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনে ভোটগ্রহণকারী প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের দায়িত্ব বণ্টনের চিঠি বিতরণ ও ভোটগ্রহণের সব ধরণের মালামাল হস্তান্তর করেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন হচ্ছে কন্ট্রোল রুম।

চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন জানান, চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। চাঁদপুর পৌরসভার ভোটার সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৮৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ২৭ জন এবং নারী ভোটার ৫৮ হাজার ৮৫৯ জন। তিনজন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত নারী আসনের ১৪ জন এবং কাউন্সিলর প্রার্থী ৫০ জনসহ মোট ৬৭ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিনি বলেন, চাঁদপুর পৌরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা ১৫টি, ভোটকেন্দ্র ৫২টি ও ভোটগ্রহণ কক্ষ ৩০৫টি। প্রতিটি কক্ষে দুটি করে ইভিএম মেশিন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি অতিরিক্ত থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি কক্ষে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুজন পোলিং অফিসার নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে ১০ জন করে আনসার, বিজিবি সদস্য ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে বিএনপি প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি ও ইসলামী আন্দোনের প্রার্থী মামুনুর রশিদ বেলাল পৌরসভা নির্বাচনে ৫২টি কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগ করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েল কোনো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেন, আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চাঁদপুর পৌর এলাকার ২১টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। যার জন্য আমরা ওইসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য রাখার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও প্রয়োজনে মোবাইল টিম কাজ করছেন।

নির্বাচন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যানবাহন এবং নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত যানবাহন ব্যতীত অন্য কোনো পাবলিক পরিবহন চাঁদপুর পৌর নির্বাচনের সীমানার ভেতর চলাচল করতে পারবে না।

You may also like