ভয়েজ রিপোর্ট: গবেষণা সংস্থার নামে মনগড়া রিপোর্ট গুজব রটানোর শামিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (১৬ মে) দুপুরে ঢাকায় তথ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন শেখ হাসিনার সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থাতেই বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুহার বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে কম’
তথ্য-উপাত্তই বলে দেয়, বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুহার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে তো বটেই, ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো থেকেও অনেক কম এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থাই এর কারণ’, বলেন তিনি।
ওয়ার্ল্ডোমিটার উপাত্ত উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত রোগীদের ১.৪৮ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছে, যা ভারতে ৩.২ এবং পাকিস্তানে ২.১৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে এ মৃত্যুহার শতকরা ৫.৯৬, যুক্তরাজ্যে ১৪.৩৬, স্পেনে ১০ এবং ইতালিতে ১৪.১১ শতাংশ। এ পরিসংখ্যানই বলে, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে দেশে করোনায় মৃত্যু বহুদেশের চেয়ে অনেক কম।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাই, যখন দেশে কোনো দুর্যোগ দেখা দেয় বা মানুষ কোনো বিপদে পড়ে, কিছু নিয়ে শঙ্কা-আশঙ্কায় থাকে, তখন নতুন নতুন গবেষণা সংস্থা গজিয়ে ওঠে।
‘এগুলোকে অন্য সময় আর দেখা যায় না বা এরা কোনো গবেষণাও করেনা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা করতে ও বিরোধীদের হাতে সমালোচনার অস্ত্র তুলে দিতেই এরা মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে। এ ধরনের মনগড়া রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ গুজব রটনার শামিল এবং আমি আশা করবো, গুজব রটনার অপরাধ সংঘটন থেকে সবাই বিরত থাকবে।
এসময় করোনা সংকটে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ব্যবসা করার মানসিকতা পরিহার করে সেবার মন নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক, বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনারোগীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন ছিল, সেভাবে আসেনি। অনেকগুলো হাসপাতাল তারা নিজেরাই অনেকটা বন্ধ করে রেখেছে। সেখানে কোনো করোনারোগী গেলে সেবা দেওয়া তো দূরের কথা, তাকে অন্য কোথাও ঠেলে পাঠানো চেষ্টা চলছে, যা আমরা প্রতিনিয়ত পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এ আচরণ অত্যন্ত অমানবিক, কারণ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য। হাসপাতালের উদ্দেশ্য যদি বাণিজ্য হয়, তাহলে তাকে হাসপাতাল বলা কঠিন। এছাড়াও আমরা দেখছি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হাসপাতালকে যখন ভাড়া নেওয়ার কথা বলা হয়, তখন অস্বাভাবিক অর্থ দাবি করা হয়।
এ সময় মন্ত্রী জানান, ২০০ বেডের একটি হাসপাতাল মাসে ১৭ কোটি টাকা দাবি করেছে এবং একইসঙ্গে ডাক্তার-নার্সদের থাকা-খাওয়ার টাকাও দাবি করেছে; যা অস্বাভাবিক।
এর আগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদের কাছে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।