উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বাড়ছে ঘন কুয়াশা, দিন-রাতের তাপমাত্রাও কমছে। প্রকৃতিতে এমন আবহাওয়া আসছে মাঘে তীব্র শীতের আভাস দিচ্ছে। পৌষের শেষ সময়ে এসে চলতি মৌসুমে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তরের বিস্তীর্ণ জনপদে।
১৩ জানুয়ারি বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে, ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
‘বছরের শুরুতে এটা প্রথম দফা শৈত্যপ্রবাহ। ডিসেম্বরেও টানা কিছুদিন এক দফা শৈত্যপ্রবাহ ছিল। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করবে কিছু কিছু এলাকায়। সেই সঙ্গে বিস্তারও বাড়বে’ বলে জানান আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
আগামী তিন-চারদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আভাস দিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
জানুয়ারি মাসে দুয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের আভাস ইতোমধ্যেই দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরমধ্যে একটি তীব্র রূপ নেয়ার শঙ্কা রয়েছে।
গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।
ভয়েস টিভি/এসএফ