Home বিনোদন মিষ্টি মেয়ে মেহজাবিনের জীবনের অম্লমধুর স্মৃতি!

মিষ্টি মেয়ে মেহজাবিনের জীবনের অম্লমধুর স্মৃতি!

by Amir Shohel

বিগত কয়েক বছর ধরে ছোটপর্দার অভিনেত্রীদের মধ্যে নিজের সহজাত অভিনয় দিয়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেনএই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। শুধু রূপে-গুণেই নন, অতিমানবীয় অভিনয়ে অনেক সংলাপই তার মুখে জীবন পায়। ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হন মিষ্টি হাসির মেহজাবিন। মেহজাবিন চৌধুরী বড় হয়েছেন দুবাইয়ে।

তার বাবা এখনও দুবাইয়ে থাকলেও ভাই ও মায়ের সঙ্গে এখন দেশেই থাকছেন মেহজাবিন। এরপর লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসেন শোবিজ অঙ্গনে। সাবলীল অভিনয়ে হয়ে ওঠেন খন্ড নাটকের অপরিহার্য অংশ। বিগত চার-পাঁচ বছর ধরে দেশীয় নাটকে নিজের অবস্থান শিখরে রেখেছেন মেধাস্বত্ব দিয়েই। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামে জন্ম মেহজাবিনের ।

কখনো কাজের মেয়ে, কখনো মানসিক বিকারগ্রস্ত তরুণী, কখনো এসিডদগ্ধ, নানা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন মেহজাবীন। চরিত্রের এই বৈচিত্র্য ভীষণ উপভোগ করেন অভিনেত্রী নিজেও।
মেহজাবীন অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’। এ নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ। এরপর তিনি একে একে কাজ করেন ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’, ‘কল সেন্টার’, ‘মেয়ে শুধু তোমার জন্য’, ‘আজও ভালোবাসি মনে মনে’, ‘হাসো আন লিমিটেডসহ’ কয়েক শ নাটকে।

‘বড় ছেলে’ নাটকটি দেশীয় নাট্যাঙ্গনে অনন্য রেকর্ড গড়ে। একের পর এক ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ‘শিল্পী’, ‘মহব্বত’ সাম্প্রতিক সময়ের প্রশংসিত নাটকের মধ্যে অন্যতম।

সম্প্রতি ‘পান সুপারি’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন–তাহসান। এই নাটকেরই একটি দৃশ্যে ঝগড়া করতে দেখা যাবে দুই অভিনয়শিল্পীকে। বাস্তবজীবনেও তিনি ভীষণ ঝগড়াটে।
এ প্রসঙ্গে মেহজাবিন বলেন, বন্ধু, সহপাঠী, ভাইবোনদের সঙ্গে কার না ঝগড়া হয়। মেহজাবীনও ব্যতিক্রম নন। বললেন, ‘প্রচুর ঝগড়া করতে হয়। কবে ঝগড়া হয়নি, সেটাই মনে করতে পারছি না। এমনকি বাসায় প্রায় প্রতিদিনই আমি ঝগড়া করি।’

ছোট বেলার গল্প বলতে গিয়ে মেহজাবিন বলেন, আমার গল্পটা ঈদের দিনের। তখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। সেবারই প্রথম সালোয়ার-কামিজ পরব। সব মিলিয়ে খুব উত্তেজনা আমার। সারা রাত আমি জেগে ছিলাম। যা-ই হোক, সকালে গোসল করে নতুন পোশাক পরলাম। নাশতা খেয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। ক্লান্ত লাগছিল। বাড়িতে ফিরে দুপুরের দিকে মা-বাবাসহ ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাত্ আমার ঘুম ভেঙে গেল। নিজের দিকে তাকাতেই কান্না পেয়ে গেল। আমার এত শখের ঈদের জামা ভাঁজ হয়ে গেছে। এখন কী করব। পরে ইস্তিরি গরম করে যেই না কামিজের ওপর রাখলাম, সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে গেল। সেদিন খুব খারাপ লেগেছিল। তবে ছোটবেলার মজার গল্পের কথা মনে করলে এটাই মনে পড়ে।

You may also like