বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর চার খুনির মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল হচ্ছে। ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এদের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার গণমাধ্যমে কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।
বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘খবরটা অনেকেই হয়তো ঠিকমতো পরিবেশন করেন নাই। বঙ্গবন্ধুর চার হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় সনদ বা সম্মাননা সেটা বাতিল করা হয়েছে। আরও চারজনের নাম এসেছে দালিলিক প্রমাণসহ। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত এদের মধ্যে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী রয়েছেন। সেজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, আগামী সভায় এ বিষয়ে কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে সেটা দাখিল করার জন্য। এবং তাহলে তাদের সম্মাননা বাতিল করা হবে।’
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘এটার নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, এটা রাজনৈতিক কারণেও নয়। পৃথিবীতে এমন বহু নজির আছে যে, তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের সম্মানসূচক পদক প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সেজন্যই (সভায়) তাদের নাম নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের কার কী ভূমিকা, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা কী- সেটা দালিলিক প্রমাণসহ পরবর্তীতে সভায় উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতকাল আলোচনা হয়েছে। আমরা একটা উপকমিটি করে দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা এসব দলিল উপস্থাপন করবে।’
‘যেমন- প্রমাণস্বরূপ যেসব কথা উত্থাপিত হয়েছিল যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের চলে যাওয়াতে তিনি (জিয়াউর রহমান) সহায়তা করেছিলেন। উচ্চপদে পদায়ন করেছিলেন জিয়াউর রহমান সাহেব বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের। তারপর সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়েছেন। এবং তিনি যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন, সেখানে শাহ আজিজুর রহমান, আব্দুল আলিম এসব স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। সংবিধান বাতিল করেছিলেন। সেসব কারণে’, যোগ করেন মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আলোচনা আসছে, তারা তো শাস্তি পায় নাই। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক তারা (শাস্তি) পায় নাই। দেশের আইন, সমস্ত দুনিয়াতেই আছে, যখন একজন লোক মৃত্যুবরণ করেন, তখন তার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে কোনো রায় ঘোষিত হয় না। কেউ যদি আসামি থাকেন তাহলে তাকে বাদ দিয়ে আদালত অন্যদের বিরুদ্ধে রায় দেন। সেই হিসেবে তাদের রায় বাদ পড়েছে। তাদের সম্বন্ধে আদালত কোনো কথা বলেনি।’
‘কিন্তু কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে, মুখে বললে তো হবে না। দালিলিক প্রমাণ যদি থেকে থাকে সেগুলো আগামী সভায় উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে’, যোগ করেন মন্ত্রী।
ভয়েস টিভি/এসএফ