১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরী খেতাব জিতে ভারতবাসীর হৃদয় জয় করে নেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অনেক ভারতীয়ের কাছেই তিনি সর্বকালের সেরা মিস ওয়ার্ল্ড। বলিউডের অনেক স্মরণীয় চরিত্রকেও পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছেন তিনি। তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী, কান চলচ্চিত্র উৎসবে যিনি জুরি সদস্য হয়েছেন। ১ নভেম্বর ৪৮ বছরে পা রেখেছেন এই অভিনেত্রী। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্পর্কে অজানা তথ্য নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন
এ অভিনেত্রীর ডাকনাম অ্যাশ। তার জন্ম ১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর। ছোটবেলাতেই মুম্বাই চলে আসেন তার মা বাবা। সান্তা ক্রুজের আর্যবিদ্যা মন্দির উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ঐশ্বরিয়া। এক বছর চার্চ গেটের জয় হিন্দ কলেজে পড়াশোনা করেন, তারপর মাতুঙ্গার রুপারেল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেন।
১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড হন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এর অনেক আগে থেকেই অবশ্য টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের কাজ করতেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম ক্যামলিন পেনসিলের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে মনিরত্নমের তামিল ছবি ‘ইরুভার’-এ প্রথম অভিনয় করেন তিনি। ববি দেওলের সঙ্গে ‘… অর পেয়ার হো গায়া’ ছবি দিয়ে তার বলিউডে অভিষেক।
তামিল ছবি ‘জিন্স’-এ প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য। তিনি সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন ঐশ্বরিয়া!
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিল তাঁর কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। এরপর তিনি অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ‘ধুম ২’-তে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ‘গুরু’ এবং ‘যোধা আকবর’-এ অভিনয় করতে দেখা যায়।
নেদারল্যান্ডসের কেউকেনহফ গার্ডেন্সে তাঁর নামে টিউলিপের একটা জাত আছে। অপরাহ্ উইনফ্রে শোতে যাওয়া প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী তিনি। মাদাম তুসোর মিউজিয়ামেও প্রথম ভারতীয় হিসেবে তার মূর্তি তৈরি হয়েছিল।
২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন অভিনেত্রী। মডেলিং, অভিনয় ছাড়া গানও গাইতে পারেন। তার গানের কণ্ঠও বেশ ভালো। প্রিয় মানুষদের গান শোনানোটাও তার পছন্দ।
ব্যক্তি জীবনে ঐশ্বরিয়া খুব সুশৃঙ্খল মানুষ। মেয়ে আরাধ্যকে খুব একটা প্রকাশ্যে আনেন না। স্বামী, শাশুড়ি জয়া বচ্চন, শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন কীভাবে আরাধ্যর সঙ্গে আচরণ করবেন, তা-ও ঠিক করে দিয়েছেন তিনি! এমনকি তার মেয়েকে সবকিছু কিনেও দেওয়া যায় না।
ভয়েস টিভি/ডি