Home ভিডিও সংবাদ রোমান স্থাপত্যের আদলে নির্মিত জমিদার বাড়ির বাঁধাঘাট

রোমান স্থাপত্যের আদলে নির্মিত জমিদার বাড়ির বাঁধাঘাট

by Amir Shohel

নড়াইল রূপগঞ্জের চিত্রা নদীর পাড়ে অবস্থিত প্রায় ২শ বছরের পুরনো জমিদারদের বাঁধাঘাট। রোমান স্থাপত্যের আদলে নির্মিত ঘাটটি বেশ দৃষ্টিনন্দন। ঘাটের উপরের অংশে আছে ২০টি কারুকার্যময় থাম, প্রতিটি ২০ ফুটের মতো উঁচু।

সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চাকরি করতেন খুলনা কালেক্টরেটে। সেখান থেকে তিনি নৌকায় আসতেন নড়াইল মহকুমা শহরে। পথেই ছিল জমিদারবাড়ির বাঁধা ঘাটটি। বঙ্কিমচন্দ্র চিত্রা নদীতে নৌকায় বসে কারুকার্যময় ঘাটটি দেখতেন। নড়াইলের জমিদারদের বিভিন্ন ইতিহাস আর ঘাটটির প্রতি তৈরি হওয়া ভালোবাসার চিহ্ন পাওয়া যায় তাঁর ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ আর ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ গ্রন্থে।

নড়াইল শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরেই ছিল জমিদারদের বসতি। ১৯৫১ সালের পর ধীরে ধীরে তাঁরা দেশান্তরী হতে থাকেন। রেখে যান বিশাল বিশাল কারুকার্যময় প্রাসাদ, চিত্রা নদী তীরের বাঁধা ঘাট, ভিক্টোরিয়া কলেজ, মঠ, মন্দিরসহ নানা কীর্তি। তাঁরা যাওয়ার পর লুটপাটের শিকার হয় জমিদারবাড়ি।

১৯৮৩-৮৪ সালে সরকারি নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে পুলিশ লাইন, সরকারি শিশুসদন। টিকে আছে দুটি পিলার, একটি মঠ, আর একটি সর্বমঙ্গলা মন্দির।

জমিদারবাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের ঘাটটি ছিল সংরক্ষিত। এটি শুধু জমিদারবাড়ির মহিলারাই ব্যবহার করতেন। তারা পালকিতে ঘাটে নেমে স্নান সারতেন জমিদারবাড়ির কন্যা-জায়া-জননীরা। ভিক্টোরিয়া যুগের সেই প্রাচীন ঘাটটিই এখন চিত্রাপাড়ের রূপগঞ্জ বাঁধা ঘাট নামে পরিচিত।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like