আনজাম খালেক: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাধারণ সময়ে বিশেষ করে জুমার নামাজ আদায়ে মুসল্লিরা প্রচুর ভিড় জমান। তবে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে প্রতিদিনের জীবন থেকে শুরু করে মুসল্লিদের নামাজ আদায়সহ সব কিছুই বদলে গেছে। শুক্রবার (৫ জুন) অন্যান্য সময়ের তুলনায় জাতীয় মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় ছিলো কম। এরপরও শত শত মুসল্লি আজ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দেশের বৃহত্তম মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়েন এবং বিশ্বব্যাপী সংকট থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। তবে, মসজিদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগও করেন অনেকে।
অদৃশ্য জীবানু করোনা ভাইরাস বদলে দিয়েছে পৃথিবী। বদলে গেছে জীবনাচরণও। ছোঁয়াচে এই রোগের কারণে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রেও আসে বিধি-নিষেধ। প্রায় এক মাস সাধারণ মুসল্লিদের জন্য মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ রেখেছিলো সরকার। পরবর্তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। দীর্ঘ ৬৬ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে সাধারণ ছুটি বা লকডাউন তুলে দেয়ার পর আজ প্রথম শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এভাবে শর্ত সাপেক্ষে জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের মসজিদে মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করেন। তবে, মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা ছিলো অনেক কম। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতাও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
নামাজ শেষে করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পেতে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া চান মুসল্লিরা। আর অনেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিরুপ মন্তব্যও করেন।
তবে, সরকারি নির্দেশনা পুরোপুরি অনুসরণ করেই জাতীয় মসজিদে নামাজ আদায় করার কথা জানান বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের নিরাপত্ত্বা প্রধান।
বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন মসজিদের প্রবেশ পথে এবং অজুখানায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। আহবান করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মুসল্লিদের মসজিদে আসার।