বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এবার দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় ‘দুর্গোৎসব’কে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে৷ শারদীয় দুর্গাপূজার সব প্রস্তুতি শেষ। আজ ২১ অক্টোবর বুধবার দেবীর বোধন এবং ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী। আজ সন্ধ্যায় বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনাপূজা করা হবে। বোধন দুর্গাপূজার অন্যতম আচার। মণ্ডপে-মন্দিরে সায়ংকালে হবে বন্দনাপূজা।
শারদীয় দুর্গাপূজায় বোধনের বিধান রয়েছে। বোধন শব্দের অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্ত। পূজা শুরুর আগে বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। পুরাণ অনুসারে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধের উদ্দেশ্যে ভগবান রামচন্দ্র বাংলা ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু শরৎকালে দুর্গাপূজা করেন। অকালে দেবীকে তিনি বোধন করেন বলে একে অকালবোধনও বলা হয়।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজা পালনের বিষয়ে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট তাপস পাল বলেন, করোনার এ সময়ে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শাস্ত্রমতে যা যা বলা হয়েছে তা করা হবে। ঢাকায় এবার কুমারী পূজা হবে না। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনও থাকছে না।
সরকার নির্দেশিত ২৬ দফা ও ৭ দফা নির্দেশনা মেনে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হবে। সোমবার প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে এ পূজা শেষ হবে। এবার দেবী দুর্গা দোলায় চড়ে আসবেন, যাবেন গজে চড়ে। বিশ্ববাসীর করোনামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সপ্তমী তিথিতে প্রার্থনা করা হবে। করোনার কারণে নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিমা বিসর্জনে শোভাযাত্রা পরিহার করা হবে।
আনন্দময়ীর আগমন ঘিরে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এখন আনন্দ। তবে করোনাকালে তাতে অনেকটা ভাটা পড়েছে। এবারের দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ৩০ হাজার ২১৩টি, যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ১৮৫টি কম।
ভয়েসটিভি/এএস
