চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বন্যশূকর শিকারির গুলিতে মারুফুল ইসলাম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছেন। ২৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নারিশ্চা জাদিমুড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মারুফ ওই এলাকার মোহাম্মদ ফোরকানের ছেলে এবং পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বিষয়টি ভয়েস টেলিভিশনকে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু।
নিহতের পিতা মোহাম্মদ ফোরকান জানান, স্থানীয় ভেট্টু বড়ুয়ার ছেলে জিতং বড়ুয়া লাইসেন্সবিহীন বন্দুক নিয়ে প্রতিদিন বন্যশূকর শিকারে যায়। শিকার শেষে তিনি বন্দুকটি খড়ের ভেতর লুকিয়ে রাখেন। ঘটনার দিন তিনি শিকারে যাওয়ার পূর্বে বন্দুক বের করার সময় বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে তার ছেলের বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
মারুফের বড় ভাই মো. মামুন বলেন, আমার ভাই মারুফ বাড়ির বাইরে পড়ালেখা করছিল। এসময় জিতং বড়ুয়ার বন্যশূকর শিকারের কাজে ব্যবহৃত লাইসেন্সবিহীন বন্দুকটি খড়ের গাদা থেকে বের করার সময় গুলি বের হয়ে আমার ছোট ভাইয়ের বুকে লাগে। এতে আমার ভাই আহত হন। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ ভয়েস টেলিভিশনকে বলেন, মারুফুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জিতং বড়ুয়া পলাতক রয়েছেন।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুলি করে এবং বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে বন্যশূকর শিকার করে আসছে একটি অসাধু চক্র। এসব বৈদ্যুতিক ফাঁদ ও গুলিতে বন্যহাতিসহ বিভিন্ন জীবজন্তুর পাশাপাশি প্রাণ যাচ্ছে মানুষেরও। এসব ফাঁদ পাতা শিকারিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
ভয়েস টিভি/এসএফ