Home জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে দুই প্রস্তাবনা এনসিটিবির

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে দুই প্রস্তাবনা এনসিটিবির

by Newsroom

ভয়েস রিপোর্ট: করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রোজার ঈদের আগে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরুর কোনো সম্ভাবনাই নাই। এজন্য চলতি শিক্ষাবর্ষকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি।
এ বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এনসিটিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এনসিটিবি আপাতত দু’টি প্রস্তাবনা সামনে রেখে কাজ করছে। একটি হলো, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ বাড়ানো। অপরটি, সিলেবাস ও ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে চলতি বছরেই সব পরীক্ষা শেষ করা। সেক্ষেত্রে চলতি শিক্ষাবর্ষ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়ে একই বছরের মার্চ মাসে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কবে কমবে এ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তাই দুটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে যদি স্কুল খোলে তাহলে চলতি শিক্ষাবর্ষকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পরের শিক্ষাবর্ষকে বিভিন্ন ধরনের ছুটি কমিয়ে ১০ মাসে নামিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে ও ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে ডিসেম্বরেও শিক্ষাবর্ষ শেষ করা যায়। তবে এখন পর্যন্ত এটি নিশ্চিত। কারণ ডিসেম্বরের আগে এই মহামারি সংকট শেষ হবে কিনা জানিনা।
এমন হলে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা পরের বছর আয়োজন করতে হবে বলে জানান তিনি।
করোনার পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উত্তরণের উপায় বের করতে রোববার এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা সহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক, মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বৈঠক করেন। বৈঠকে এসব প্রস্তাব আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

You may also like