আশুলিয়ার কলতাসূতিতে ৭ বছরের শিশু শিক্ষার্থী আসিফ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা জুয়েল রানা বাদী হয়ে রাতে আশুলিয়া থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।
১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্ত ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। এর আগে সকালে নিখোঁজের দুই দিন পর শিমুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলতাসুতি এলাকা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আসিফ (৭) একই এলাকার জুয়েল রানার ছেলে। সে স্থানীয় দিপারোজ স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আটকরা হলো- আশুলিয়ার কলতাসূতি এলাকার এখলাস ব্যাপারীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ও সুজন, মাদারীপুরের রাজৈর থানার তাতীকান্দার মৃত মোখলেস শেখের ছেলে কামাল, জামালপুরের ইসলামপুর পলকান্দা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সম্রাট আকবর, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার দশমুরা সাদুল্যাপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে রমজান, রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সাধেরচড় এলাকার মো এখলাসের ছেলে রহিম এবং কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী থানার মৃত ওয়াদুদের ছেলে মজনু।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে আটক ৭ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিহত আসিফ গত ১১ অক্টোবর নিজ বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে স্বজনরা। পরে ওই এলাকায় ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে একটি শ্রমিক কলোনির পাশে আসিফের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
ভয়েসটিভি/এএস