Home বিনোদন শুভ জন্মদিন নারীকুলের ক্রাশ হৃতিক রোশন

শুভ জন্মদিন নারীকুলের ক্রাশ হৃতিক রোশন

by Amir Shohel

শুধু অভিনয়দক্ষতাই নয়, হৃতিক রোশনের আকর্ষণীয় চেহারা আর ফিটনেস ভক্তকুলে তুমুল জনপ্রিয়। আর তার জনপ্রিয়তা শুধু বলিউডেই নয়, বিশ্বজুড়ে। বলিউডের ‘গ্রিক গড’ খ্যাত এই নায়ক নারীকুলে ‘ক্রাশ’! জানেন কি, প্রথম সিনেমা দিয়ে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠা বলিউড সুপারহিরো ঋত্বিক রোশনের ছোটবেলায় তোতলামির রোগ ছিল। সিনেমায় আসার পূর্বে সেটে একজন স্পটবয়ের কাজ হিসেবে মেঝে পরিষ্কার এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চা পরিবেশনের কাজও করতে হয়েছে এই তারকাকে।

১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন হৃতিক রোশন। আজ গ্রিক দেবতা খ্যাত এই তারকার ৪৭তম জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিতে তাকে শুভকামনা জানাচ্ছেন তার ভক্তরা। পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যরাও তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আজ বলিউডে সুপ্রতিষ্ঠিত তারকা হৃতিক রোশনের অভিনেতার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আপকে দিওয়ানে’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছিল হৃতিককে। ছবিটির প্রযোজক ছিলেন হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশন। ছবিটিতে রহিম চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন রাকেশ। ছবিটির একটি গানের দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছর বয়সী হৃতিককে। দৃশ্যটিতে শিশু রহিম চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

পরের বছর মুক্তি পায় হৃতিকের দাদা ও চলচ্চিত্রনির্মাতা-প্রযোজক জে ওম প্রকাশ পরিচালিত ছবি ‘আশা’। এই ছবির একটি গানের সঙ্গে নেচেছিলেন ছোট্ট হৃতিক। তাকে না জানিয়েই তার নাচের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল। এমনকি ‘আশা’ ছবির ক্রেডিট লাইনে হৃতিকের নাম পর্যন্ত যায়নি। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভগবান দাদা’ ছবিতে রজনীকান্তের পালক ছেলে গোবিন্দ চরিত্রে অভিনয় করেন ১২ বছর বয়সী হৃতিক।

বাবা রাকেশ রোশনের পরিচালনায় ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে ২০০০ সালে বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় তারকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন হৃতিক। এই দুই দশকে প্রতিদিন আগের চেয়ে আরও সুদর্শন হয়েছেন। কিন্তু বয়স বেড়েছে, এ কথা বলতে পারবে না কেউ।

‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় উপহার দিয়ে সেরা অভিনেতা এবং সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন হৃতিক। এ ছাড়া ২০০৩ সালে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে ঠাঁই পায় ‘কহোনা পেয়ার হ্যায়’ ছবির নাম। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরস্কার ঝুলিতে ভরে রেকর্ড গড়েছিল হৃতিক অভিনীত ছবিটি। বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান আসর থেকে সব মিলিয়ে ১০২টি পুরস্কার পেয়েছিল ‘কহোনা পেয়ার হ্যায়।

অভিনয়ের পাশাপাশি প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন হৃতিক। ‘কাইটস’ এবং ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন দাতব্য কাজের সঙ্গে জড়িত আছেন হৃতিক। ঢাকঢোল না পিটিয়ে অনেকটা অজ্ঞাতসারেই এসব দাতব্য কাজ করেন তিনি। অতীতে স্কুল বাস কেনার জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ দানের পাশাপাশি হৃদরোগে আক্রান্তদের কল্যাণেও কাজ করেছেন তিনি।

চেইন স্মোকার ছিলেন হৃত্বিক রোশন। কিন্তু ‘হাউ টু স্টপ স্মোকিং’ বই পড়ার পর ধুমপান ছেড়ে দেন। ডান হাতে দুটি বৃদ্ধ আঙ্গুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন হৃত্বিক রোশন। আর এটিকে তিনি সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করে থাকেন। কিন্তু সিনেমায় সবসময় এটি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন বলিউডের এই সুপারস্টার।

বলিউডে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হৃত্বিকের প্রথম পারিশ্রমিক ছিল একশ রুপি। এমনকি এশিয়ার সবচেয়ে আবেদনময়ী পুরুষের তালিকাতেও তার নামটি রয়েছে সবার উপরে। এছাড়া ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাও তিনি।দদ

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like