Home জাতীয় সংসদ ভবনের ম‍ূল নকশার বাইরে যতো স্থাপনা

সংসদ ভবনের ম‍ূল নকশার বাইরে যতো স্থাপনা

by Amir Shohel

জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশার বাইরে স্থাপিত কবর এবং স্থাপনা গড়ে ওঠেছে সময়ে সময়ে। সম্প্রতি জিয়াউর রহমানসহ আরও ৯টি কবর এসব এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে স্পীকারের কাছে আবেদন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে লুই কানের মূল নকশার বাইরে গিয়ে সংসদ ভবন সীমানার মধ্যে সম্মেলন কেন্দ্র, মাজার, সমাধি, উচ্চ পদস্থদের বাস ভবন ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছে। এ নিয়ে গেল কয়েক বছর ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন সুশীল সমাজ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।

মূল নকশা অনুযায়ী, সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের পাশাপাশি নতুন সচিবালয়ও শেরেবাংলা নগরে হওয়ার কথা। কিন্তু বিএনপি সরকার সেখানকার ১০ একর জমিতে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণ করে,যা পরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নামে নামকরণ করা হয়। এখন সরকার আবার সেখানে সচিবালয় স্থানান্তর করতে চাইলেও লুই কানের মূল নকশা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শেরেবাংলা নগরে নকশাবহির্ভূত স্থাপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সরকার লুই কানের মূল নকশা পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার আর্কাইভস থেকে সংগ্রহ করেছে সরকার। ওই নকশার একটি অনুলিপি সরকারের কাছে আছে। মূল নকশা সংগ্রহের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়।

রাজনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, সংসদ ভবনের সীমানায় জিয়াউর রহমানের দেহাবশেষ আনা হয়েছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ও উদ্দেশ্যে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তাঁকে হত্যার পর প্রথমে দাফন করা হয়েছিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। পরে সেখান থেকে তাঁর দেহাবশেষ তুলে এনে ২ জুন চন্দ্রিমা উদ্যানে কবরস্থ করা হয়। ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরকে কেন্দ্র করে পাঁচ বিঘা জমিতে সমাধি কমপ্লেক্স গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৩ সালে কাজ শুরু হয়, চলে ২০০৭ পর্যন্ত।

পঁচাত্তর-পরবর্তী সময় থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত আটজন নেতা ও ব্যক্তিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে পাঁচ বিঘা জমিতে ‘জাতীয় কবরস্থান’ নাম দিয়ে সাতজনকে সমাহিত করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাতটির মধ্যে দুটি কবরের নামফলক নেই। তাঁরা হলেন আবদুস সাত্তার ও শাহ আজিজ। তমিজউদ্দীন খান এবং খান এ সবুরের কবর শুধু পাকা করা হয়েছে। অন্যদের নাম, জন্ম ও মৃত্যুর সময় লেখা আছে সাইনবোর্ডে।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like