Home জাতীয় সন্ধ্যার পর ভাসানচরের নৌপথ বন্ধ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সন্ধ্যার পর ভাসানচরের নৌপথ বন্ধ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

by Amir Shohel
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালানো হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সন্ধ্যার পর ভাসানচর থেকে নোয়াখালী কিংবা হাতিয়ায় যাতায়াত বন্ধ থাকবে। এ সময় ওই পথে মূল ভূখণ্ডের কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না।

২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব‍্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি এসব এলাকায় বাড়ানোরও ব্যবস্থা করা হবে। নিরাপত্তা বাড়াতে এপিবিএন কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে।

ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র‌্যাবের যৌথ টহল আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ক্যাম্পের বাইরে সেনবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব রয়েছে। তারা সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ও থাকবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক প্রবেশ, মাদক ব্যবস্থা ও বিক্রয়রোধে মনিটরিং বাড়ানো হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালানো হবে।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বেশি কিছু ওয়াচ টাওয়ার হয়েছে, আরও হবে। অভ্যন্তরীণ রাস্তার কাজও শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই। কোন কোন জায়গায়ও হয়েছে। আর্মির ইঞ্জিনিয়ারিং কোর সেটা করছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের সুবিধাও বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে টহল আরও বাড়ানো হবে। নাফ নদীতে আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর তদরকি আরও জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে উখিয়া ও টেকনাফে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে। সেটা অব্যাহত থাকবে। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা চলছে। দ্বিপাক্ষিক কথাবার্তা আরও জোরদার করা হবে।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুহিবুল্লাহ মার্ডারের আমরাতো বলেই দিয়েছি, তাকে যারা মার্ডার করেছে, প্রায় সবাইকেই আমরা ধরে ফেলেছি। এর ভেতরে মোটিভ কী ছিল, জিজ্ঞাসাবাদের পরে আমরা জানাতে পারবো, সেটিই আমরা বলছি। আমাদের সিকিউরিটির কোনো দুর্বলতা নেই।

ভয়েসেটিভি/এএস

You may also like