ভয়েস রিপোর্ট:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, লকডাউন খুলে দিয়ে সরকার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।
রিজভী বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মরদেহ রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছে। টেস্ট করার কোনো উপায় নেই। পর্যাপ্ত মেডিক্যাল সহায়তা নেই। এটা সরকার খেয়াল করছে না। এটার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। মানুষের জীবন তাদের কাছে বড় নয়। তাদের কাছে টাকা অনেক বড় কথা। যে খাদ্য ছিল তা দিয়ে দুই-তিন মাস গরিব মানুষকে চালাতে পারতাম। বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতাম । আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনীকে দিয়ে যারা গার্মেন্টসে কাজ করে, দিন আনে দিন খায়, রিকশাচালক তাদের সবাইকে দিতে পারতাম। সরকার ওইদিকে যায়নি। সরকারের কথা হচ্ছে, মানুষ মরুক আমার কিছু যায় আসে না।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট না পেয়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স মারা যাচ্ছে। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে, চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী একটি কমিটি করেছেন করোনা প্রতিরোধের জন্য। বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি। তারাও বলছেন, আপনি পুনঃবিবেচনা করুন এখন লকডাউন খুলবেন না। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সারা পৃথিবীর মধ্যে করোনায় ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আজকে রাস্তাঘাট খুলে দেয়া হয়েছে, যানবাহন চলছে, গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছ। হাজার হাজার লোক কাজে যাচ্ছে। এতে কত লোক করোনায় আক্রান্ত হবে। তাদের না থাকবে চিকিৎসা, না থাকবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। মৃত্যুর দিকে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সকার জাবেদ আহমেদ, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভাট, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।