Home জাতীয় দেশে বেশিরভাগ মার্কেটই খুলছে না

দেশে বেশিরভাগ মার্কেটই খুলছে না

by shahin

ভয়েজ ডেস্ক : মাহে রমজান ও ঈদ সামনে রেখে শর্ত সাপেক্ষে  দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় রাজধানীসহ সারাদেশের প্রায় বেশিরভাগ শপিংমল, মার্কেট, বিপনী বিতান বন্ধই থাকছে। ১০ মে থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে শপিংমল খোলা রাখার জন্য সরাকারি নির্দেশনা অবশ্য রয়েছে ।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, নানা সংকটসহ যুক্তিসংঙ্গত একাধিক কারনে খোলা হচ্ছে না দেশের বেশিরভাগ শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য সারাদেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ শপিংমল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঝুঁকি এড়াতে অন্যান্য দোকানপাটও বন্ধ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চকসসহ অভিজাত শপিংমলই বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীসহ প্রায় সব বিভাগেই শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা । একই সাথে দেশের বিভিন্ন জেলাও শপিংমল বন্ধ রাখার ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছে ।
সরকার সারা দেশে মার্কেট বিপনী বিতান, শপিংমল সীমিত পরিসরে ১০ মে থেকে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়ার পর এ নিয়ে দেখা দেয় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া । শপিংমল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় সমালোচনাও হচ্ছে ব্যাপকভাবে ।

অপরদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের আগে বাজার করার জন্য শপিংমল খুলে দিলে ভিড় বাড়বে। আর এই ভিড় থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

শুধু তা-ই নয়, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে বলা হয়েছে, দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ চান না শপিংমল খোলা হোক। শপিংমল খুলে দিলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে তারা মনে করেন।

গত ৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে সারাদেশের দোকান-পাট, শপিংমলগুলো আগামী ১০ মে থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
সেক্ষেত্রে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

You may also like