সেনাবাহিনীকে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে মিলিটারি একাডেমির অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীকে দেশের উন্নতিতে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। নবীন সেনা সদস্যদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের সব সময় এই কথাটা মনে রাখতে হবে যে দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের জন্য কর্তব্য পালন করতে হবে। কারণ তোমরা যে শপথ গ্রহণ করেছ, এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিরাট দায়িত্ব তোমাদের কাঁধে পড়ল। সেই কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে নবীন ক্যাডেটদের উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখান থেকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি তোমাদের জাতির পিতা হিসাবে আদেশ দিচ্ছি, তোমরা সৎ পথে থেকো, মাতৃভূমিকে ভালো বাইসো। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবা, গুরুজনকে মেনো, সৎ পথে থেকো, শৃঙ্খলা রেখো, তা হলে জীবনে মানুষ হতে পারবা।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনে সব থেকে বড় কথা সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা এবং দেশমাতৃকাকে ভালোবাসা। জাতির পিতার এই নির্দেশনা, এই উপদেশ আমি মনে করি চলার পথে সব সময় মনে রাখবা।
মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় তুলে ধরেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন।
ঘাতকের বুলেটে সেদিন প্রাণ হারানো জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা শহিদ লেফট্যানেন্ট শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেলের কথাও প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন।
ছোট ভাই শেখ রাসেলের কথা মনে করে শেখ হাসিনা বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়স, তার জীবনে একটা স্বপ্নই ছিল, সে সেনাবাহিনীর অফিসার হবে। কিন্তু ঘাতকের বুলেট যে সেদিন সেই স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, “তোমাদের মাঝে যখন আসি, আমার সেই… মনে হয় আমিও তোমাদের পরিবারেরই একজন। কাজেই তোমাদের প্রতি সব সময় আমার দোয়া থাকবে, আশীর্বাদ থাকবে।”
কমিশনপ্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা দেশকে ভালোবাসবে, মানুষকে ভালোবাসবে, মানুষের জন্য কর্তব্য পালন করবে। যেন এই দেশ এগিয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে এই দেশ আরো উন্নত, সমৃদ্ধ হতে পারে, সেইভাবেই তোমরা কাজ করবে, সেটাই আমরা চাই।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ১৮টি মর্টার দিয়েছে ভারত
ভয়েস টিভি/এসএফ