Home অপরাধ স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ, চট্টগ্রামে ধর্ষকসহ গ্রেফতার ৪

স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ, চট্টগ্রামে ধর্ষকসহ গ্রেফতার ৪

by Amir Shohel

স্বামীর খোঁজে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে এসে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় পূর্ব পরিচিত একজনের বাসায় আশ্রয় নেওয়ার পর ওই ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। পরে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির সহযোগীরা ওই নারীকে উল্টো অপবাদ দিয়ে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনার পর চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- মনির হোসেন (৩৩), মাসুদ (২০), দিদার (২২) ও সোহেল (২৪)।

৮ নভেম্বর রোববার লালখানবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ভয়েস টেলিভিশনকে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক।

তিনি আরও জানান, ওই নারী স্বামীর সঙ্গে লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় থাকতেন। মাসখানেক আগে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে তারা বাসা ছেড়ে দিয়ে কুমিল্লায় চলে যান। কিছুদিন পর স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তার স্বামী আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসে। গত শুক্রবার মনির হোসেন নামের চট্টগ্রামের এক প্রতিবেশী ওই নারীকে জানান, তার স্বামী চট্টগ্রামে আছে। স্বামীর সঙ্গে মিটমাট করে দেবে, এমন কথা বলে তাকে চট্টগ্রামে আসতে বলেন মনির। এই আশ্বাসে সন্ধ্যায় ওই নারী চট্টগ্রামে এসে মনিরের বাসায় উঠেন। শনিবার সকালে মনিরের স্ত্রী চাকরিতে গেলে তিনি ওই নারীকে ছুরির ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন (৩৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি ওই নারীকে হেনস্থা ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

খুলশী থানার ওসি শাহীনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ওই গৃহবধূ মনিরের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও ফেলে যাওয়া বোরকা নিতে দুপুরে আবার সেখানে যান।

তিনি বলেন, সেখানে যাওয়ার পর স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক তার সঙ্গে মনিরের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই নারী রাজি না হওয়ায় মারধর করে তার টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। মারধর করা মনিরের সহযোগীরা হলেন- মুন্না, এমরান, মাসুদ, রাজু, দিদার, সোহেল এবং জাকির। রাজু ওই নারীর সঙ্গে থাকা ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরে ওই গৃহবধূ প্রতিবেশী এক নারীকে নিয়ে থানায় এসে মারধরের অভিযোগ করলেও ধর্ষণের বিষয়টি গোপন করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সনদসহ থানায় আসার পরামর্শ দেন।

হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনা জানান। পরে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয় এবং হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে।

আরও পড়ুন : শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বামীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৪

সিএমপির সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রান তালুকদার ভয়েস টেলিভিশনকে জানান, শনিবার রাতেই ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনিরকে গ্রেফতার এবং তার বাসা থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়। আর ভোরের দিকে লালখান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদ, দিদার ও সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like