Home অপরাধ স্যার ব্যবসা চালু হলে সব টাকা ফেরত দেবো : আদালতে সাহেদ

স্যার ব্যবসা চালু হলে সব টাকা ফেরত দেবো : আদালতে সাহেদ

by Amir Shohel
সাহেদ

করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ রিমান্ড শুনানি চলাকালে অপরাধ স্বীকার করে বিচারককে বলেন, ‘স্যার আমি অপরাধ করেছি। ব্যবসা চালু হলে আস্তে আস্তে সবার টাকা ফেরত দিয়ে দেবো।’

২৬ জুলাই রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক সাহেদের বক্তব্য জানতে চান। তখন এসব কথা বলেন।

রিজেন্টের মালিক সাহেদ বলেন, ‘আমি ও মাসুদ দুজনই অপরাধী। আমার বিরুদ্ধে মামলার রিমান্ড শুনানি ঈদের পর হলে ভালো হয়। কয়দিন ধরে রিমান্ডে আছি। আমি অসুস্থ।’

আজ প্রতারণার চার মামলায় সাহেদের ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ২১ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত শুনানি শেষে দুজনের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাহেদও মাসুদ দুজনই ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। সেই রিমান্ড শেষে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এ সময় তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। শুনানি শেষে চার মামলায় সাহেদের ২৮ দিন এবং তিন মামলায় মাসুদ পারভেজের ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

চলতি মাসের ১৬ তারিখে সাহেদ-মাসুদ ও তরিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনজনের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক এস এম গাফফার আলম। অপরদিকে তাদের আইনজীবী নাজমুল হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সাহেদ ও মাসুদের ১০ দিনের এবং তরিকুলের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম।

এর আগে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের ভয়াবহ জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ৮ জুলাই গ্রেফতার হন তরিকুল। ১০ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করে এক সপ্তাহের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। মামলার ২ নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গত ১৪ জুলাই গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, কোভিড-১৯ চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

ভয়েসটিভি/নিজস্ব প্রতিবেদক/এএস

You may also like